যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বিরুদ্ধে মামলা করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। প্রচারণার ধরনে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের পথ খুলে গেছে বলে মতপ্রকাশ করায় নেওয়া হয় এ আইনি ব্যবস্থা। শুক্রবার আটলান্টার একটি আদালতে দায়ের করা হয় মামলাটি। এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সিএনএন। ১০ দিনের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্প শিবিরের এটি তৃতীয় মামলা। এর আগে নিউইয়র্ক টাইমস আর ওয়াশিংটন পোস্টের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ট্রাম্প শিবির। তিনটি মামলাই করা হয়েছে ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিভিন্ন সম্পাদকীয় ইস্যুতে। সবগুলো লেখাতেই উঠে এসেছিল রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিবহির্ভূত সম্পৃক্ততার বিষয়টি।
হোয়াইট হাউসের নতুন সিওএস : আবারও হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মার্ক মেডোজকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। চিফ অব স্টাফ হিসেবে হোয়াইট হাউসে এক বছর দুই মাস ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করা মিক মোভানির স্থলাভিষিক্ত হলেন মেডোজ। বিবিসি
এ নিয়ে ট্রাম্পের চলতি মেয়াদেই চারবার চিফ অব স্টাফ পদে পরিবর্তন আনা হলো। মোভানির আগে এ পদে ছিলেন জন কেলি; তার আগে রেইনস প্রিবাস। চিফ অব স্টাফ থেকে সরিয়ে মোভানিকে উত্তর আয়ারল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে টুইটে বলেছেন ট্রাম্প। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই ট্রাম্প চিফ অব স্টাফের পদ থেকে মোভানিকে সরিয়ে দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে সময় এ খবরগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘ভালো’ বলে নিশ্চিত করেছিলেন। হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও মোভানিকে কখনই ট্রাম্পের ‘ইনার সার্কেলের’ সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। অন্যদিকে মেডোজ আগে থেকেই ট্রাম্পঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সালে তখনকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক তুলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছিলেন এ রক্ষণশীল রাজনীতিক। যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ওবামা কেনিয়ায় জন্মেছিলেন বলে সে সময় দাবি করেছিলেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নর্থ ক্যারোলাইনার এ কংগ্রেস সদস্যের অবস্থানও ট্রাম্পের মতোই, বলছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। নতুন দায়িত্বে আসায় মেডোজকে এখন নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ‘মার্ক আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত, তার সঙ্গে আমি কাজও করেছি। আমাদের দুজনের সম্পর্ক চমৎকার,’ বলেছেন ট্রাম্প।