রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

মার্কিন প্রমোদতরীতে করোনা সংক্রমণ

সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে আটকা পড়েছিল ব্রিটিশ প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস। সেখানে দুই সপ্তাহের বেশি আটকা (কোয়ারেন্টাইন) ছিলেন অন্তত ৩ হাজার ৭০০ আরোহী। এ পর্যন্ত জাহাজটির সাত শতাধিক যাত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ছয়জন। এবার যুক্তরাষ্ট্রেও অনেকটা একই পরিণতি হতে চলছে গ্র্যান্ড প্রিন্সেস নামে আরেকটি বিশাল প্রমোদতরীর। সান ফ্রান্সিসকো বন্দরে আটকে থাকা জাহাজটির ৪৬ আরোহীর নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এতে থাকা অর্ধশতাধিক দেশের আড়াই হাজার আরোহীর ভাগ্য। গতকাল মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, ‘যাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা দরকার, তাদের সেভাবেই রাখা হবে। যাদের চিকিৎসা দরকার, তারা তা পাবেন।’ করোনা সংকটকালে মার্কিন নাগরিকদের প্রমোদতরী ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিবিসি

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, করোনা আক্রান্ত আরোহীদের মধ্যে ১৯ জনই জাহাজটির ক্রু, বাকি দুজন যাত্রী। তবে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বা কোথায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবেÑ তা জানানো হয়নি। এর আগে ডায়মন্ড প্রিন্সেসের মার্কিন যাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এবারও একই পথ অনুসরণ করতে পারে মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গ্র্যান্ড প্রিন্সেসে মোট ২ হাজার ৪২২ জন যাত্রী ও ১ হাজার ১১১ জন ক্রু রয়েছেন। জাহাজটিকে অবাণিজ্যিক কোনো বন্দরে নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রেখে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের। এর আগ পর্যন্ত সব যাত্রীকে নিজ নিজ কেবিনে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জাহাজটির এক যাত্রী ‘স্টেজ ফোর’র ক্যান্সার রোগী। কারি কলস্টো নামে ৬০ বছরের ওই নারী জানান, তিনি ও স্বামী স্বল্পকালীন ভ্রমণে হাওয়াই যাচ্ছিলেন। গত দেড় বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে। এ থেকে ক্ষণিকের জন্য অবকাশ নিতে বের হয়েছিলেন এ দম্পতি। হঠাৎ করোনার প্রকোপে বড় বিপদে পড়েছেন সবাই। যত দ্রুত সম্ভব ভাসমান অবস্থা থেকে উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছেন এ ক্যান্সার রোগী। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর