সোমবার, ৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

গ্রিস সীমান্তে দুর্বিষহ জীবন অভিবাসীদের

নির্বিচারে পেটাচ্ছে পুলিশ

বিশ্বে অভিবাসী সমস্যা আবার প্রকট আকার ধারণ করছে। সিরিয়ায় তুর্কি সেনাবাহিনী ঢোকার পর থেকে তুর্কি ও সিরীয় বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেকটা জেদের বসেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার দেশের সঙ্গে ইউরোপের সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ফলে হু হু করে অভিবাসীরা গ্রিস সীমান্তে পাড়ি জমায়। কিন্তু সেখানে এখন ঘটছে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। কয়েক হাজার অভিবাসী গ্রিসে প্রবেশের  চেষ্টা করছে। কিন্তু গ্রিক পুলিশ তাদের কোনোভাবেই ঢুকতে দিচ্ছে না। বরং নিয়েছে কঠোর অবস্থান। অভিবাসীদের অনেকে বলেছে, পুলিশ তাদের প্রহার করেছে। তাদের সঙ্গে থাকা অর্থ কেড়ে নিয়েছে। পায়ের জুতা কেড়ে নিয়েছে। এরপর তুরস্কে ফেরত পাঠাতে জোর করে ট্রাকে তুলে দিচ্ছে। একজন অভিবাসী তার শার্ট খুলে  দেখিয়েছে পিঠে পিটুনির দাগ কীভাবে স্পষ্ট হয়ে আছে। ওই অঞ্চল সফর করেছেন লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইলের সাংবাদিক ইয়ান বিরেল। তিনি ওই মানব ট্র্যাজেডি প্রত্যক্ষ করে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তার কাছে নির্যাতিত এসব অভিবাসী বলেছেন, তারা অন্তঃসত্ত্বা একজন নারীকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আবদুল রাজ্জাক আল মুহাদ নামে এক অভিবাসী বলেছেন, তার পরিবার একটি বনের ভিতর ৫ দিন লুকিয়ে ছিল। তারপর গ্রিক পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের সঙ্গে থাকা সবকিছু  কেড়ে নিয়েছে তারা।

সিরিয়ায় ১১ বছর ধরে গৃহযুদ্ধের প্রভাবে কয়েক বছর আগে দক্ষিণ তুরস্কে একজন শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন মুহাম্মদ। গত সপ্তাহে তিনি শুনতে পান গ্রিস সীমান্ত খুলে দিয়েছে। ফলে তিনি পরিবার নিয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করলে গ্রিস পুলিশ তাদের কাছে থাকা সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। শনিবার সীমান্তে আরও ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা গেছে। ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। এ সময় অভিবাসীরা ‘সীমান্ত গেট খুলে দাও’ স্লোগান দিতে থাকে। অনেকে সীমান্তের বেড়া ধরে ধাক্কা দিতে থাকে।

সর্বশেষ খবর