মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

পিতাকে সরিয়ে বাদশাহ হতে চান এমবিএস!

পথ পরিষ্কার করতে সৌদিতে ধরপাকড়

পিতাকে সরিয়ে বাদশাহ হতে চান এমবিএস!

বছর তিনেক আগে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ছিলেন মোহাম্মেদ বিন নায়েফ (ডানে)। স¤প্রতি তাকে গ্রেফতার করেছেন বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান-এএফপি

কয়েক ডজন প্রিন্স গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তপ্ত সৌদি আরবের রাজনীতি। এতদিন বলা হয়েছে, দেশটির বর্তমান বাদশা ও প্রিন্সের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী মিডল ইস্ট আই দাবি করছে, বাবা বাদশাহ সালমান বেঁচে থাকতেই বাদশাহ হতে চান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। আর এটা আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে। নভেম্বরে সৌদি রাজধানী রিয়াদে হওয়ার কথা জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনের আগেই তিনি বাদশাহ হতে চান। কিন্তু তার চাচা প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেল আজিজ এতে সায় দেননি। সে কারণেই চাচাকে গ্রেফতার করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। মিডল ইস্ট আই-এর সম্পাদক ডেভিড হার্স্ট এক প্রতিবেদনে এসব জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, বাবার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান না মোহাম্মদ বিন সালমান। কেননা, বাবা যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে তার বাদশাহীর দাবির গোড়া শক্ত থাকবে। এ কারণেই নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের আগে আগেই সিংহাসনে বসতে চান এমবিএস হিসেবে পরিচিত এই ক্রাউন প্রিন্স। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বাদশাহর স্মৃতিভ্রম বা ডিমনেশিয়া রোগ আছে। এ কারণে ক্রাউন প্রিন্স তার পিতাকে সিংহাসনে রাখতে পক্ষপাতী নন।

হার্স্ট লিখেছেন, নিজের চাচাতো ভাই প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স পদ থেকে অপসারণ করে যে কাজ শুরু করেছিলেন এমবিএস, পিতাকে অপসারণ করে সিংহাসনে বসে সেই কাজ শেষ করবেন তিনি।’ শুক্রবার বাদশাহ সালমানের একমাত্র জীবিত ভাই প্রিন্স আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে তাকে শেষবারের মতো এমবিএসের পক্ষাবলম্বন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। মূলত, নতুন বাদশাহ নিয়োগ দেওয়ার জন্য যে অ্যালিজিয়েন্স কাউন্সিল রয়েছে, তার সদস্য প্রিন্স আহমেদ। এ কারণেই তার সমর্থন অত্যন্ত জরুরি এমবিএসের। দ্বিতীয় একটি সূত্র জানায়, এমবিএসকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রিন্স আহমেদের ওপর চাপ ছিল। এদিকে প্রিন্স আহমেদের গ্রেফতার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, প্রিন্স আহমেদের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। শুক্রবার সকালে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি এ ধরনের কোনো কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কেননা, তার এ ধরনের ক্ষমতাই ছিল না। তারা জানান, ‘বাদশাহ সালমান মারা গেলে প্রিন্স আহমেদ অ্যালিজিয়েন্স কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে প্রকাশ্যেই এমবিএসের সিংহাসনে আরোহণের বিরোধিতা করতেন। তিনি প্রকাশ্যেই না বলতেন। অভ্যুত্থান চেষ্টার কিছু ছিল না এখানে।’

সর্বশেষ খবর