বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্রাসেলস থেকে খালি হাতে ফিরলেন এরদোগান

ব্রাসেলস থেকে খালি হাতে ফিরলেন এরদোগান

গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ইউরোপের অন্যতম বড় সমস্যা অভিবাসী। সেই সমস্যাকে উসকে দিয়ে সুবিধা নিতে চায় তুরস্ক। কিন্তু এ যাত্রায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ব্যর্থ হয়েছেন। নিজ সীমান্ত খুলে দিয়ে শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশ করিয়ে ইউরোপের সঙ্গে দরকষাকষি করতে ব্রাসেলস যান এরদোগান। কিন্তু গত সোমবার ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তেমন কোনো সমাধানসূত্র উঠে আসেনি। মূলত সিরিয়ায় বেকায়দায় পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর কাছে সাহায্য চেয়ে বিফল হয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। চাপ বাড়াতে তিনি গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ইউরোপে শরণার্থীদের প্রবেশের পথ খুলে দিয়েছিলেন। ফলে গ্রিস সীমান্তে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গ্রিসের বেশ কয়েকটি দ্বীপেও শরণার্থীর ঢল নামে। দুই পক্ষের মুখরক্ষা করে বর্তমান সংকট কাটানোর উদ্যোগের আওতায় সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করলেন তুরস্কের  প্রেসিডেন্ট। তবে ইইউ ও ন্যাটোর কাছ থেকে কোনো ছাড় আদায় করতে পারেননি। ইইউ তুরস্কের সঙ্গে শরণার্থী চুক্তি চালু রাখার পক্ষে মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে। এর জন্য আগে যে চুক্তি করা হয়েছে তা এখনো বহাল আছে বলে জানিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন  ডেয়ার লাইয়েন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এই চুক্তির মূল্যায়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বর্তমানে যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে কাজ করবেন। তবে বৈঠকের পর ইইউ সরকার পরিষদের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল ও কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডেয়ার লাইয়েন আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট। তবে সংকটের সমাধান সূত্র হিসেবে তারা  কোনো কিছু খোলাসা করেননি। এমনকি সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান উপস্থিত ছিলেন না। সোমবার এরদোগান ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তিনি মোট ১০টি অনুরোধের তালিকা পেশ করেন। সরাসরি সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযানে সহায়তার প্রত্যাশা না করলেও তিনি চান তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ন্যাটোর আরও বিমান ও ড্রোন  মোতায়েন করা হোক। ভূমধ্যসাগরের পূর্বাংশে আরও রণতরী পাঠানোরও অনুরোধ করেছেন এরদোগান। স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ন্যাটো বর্তমানে তুরস্কের সহায়তা করছে, ভবিষ্যতেও করে যাবে। অর্থাৎ তুরস্ককে নতুন কোনো সহায়তার আশ্বাস দেননি ন্যাটোর মহাসচিব। মোটকথা এরদোগান খালি হাতেই দেশে ফিরেছেন বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন।

সর্বশেষ খবর