শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার থাবায় পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

পেট্রোলিয়ামের দাম গত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন

সাম্প্রতিক সময়ে এমন অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা দেখেনি বিশ্ব। ভ্রমণ, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্র করোনাভাইরাসের প্রসারের ফলে চরম সংকটে পড়েছে। বিশ্ব পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন দেখা যাচ্ছে। পেট্রোলিয়ামের দাম আরও কমছে।

আপাতত গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে ব্যস্ত। ভাইরাসের প্রসারের গতি কমাতে একের পর এক দেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞার  ঘোষণা করছে। নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা নিশ্চিত করতেও নানা পদক্ষেপ  নেওয়া হচ্ছে। বড় জমায়েত এড়িয়ে মানুষজন নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। এমন জরুরি পরিস্থিতির নেপথ্যে আরও এক সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। পর্যটন, বেসামরিক বিমান চলাচল থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্র মন্দার কবলে পড়ছে। বিশ্ব অর্থনীতির মোড়লদের সম্পদ ভয়াবহ আকারে কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর এমন অনিশ্চয়তার কুপ্রভাবের প্রকৃত মাত্রা সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন প্রান্তে সরকার একের পর এক কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করছে। ইতালির মতো গোটা দেশের ‘লকডাউন’ আর ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত থাকবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজার বার বার  কেঁপে উঠছে। সেইসঙ্গে কমে চলেছে পেট্রোলিয়ামের দাম। যা গত অর্ধশতাব্দিতে মধ্যে সর্বনিম্ন দামে অবস্থান করছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণার পর আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের হাতছানি দেখা দিচ্ছে। গতকাল সকালে এশিয়ার পুঁজিবাজারে এই আশঙ্কার প্রতিফলন দেখা গেছে। বুধবার আমেরিকার পুঁজিবাজারেও ব্যাপক দরপতন ঘটেছিল।

করোনাভাইরাসকে ঘিরে সংকটের ফলে প্রায় সব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রই লোকসানের মুখ দেখছে। এর মধ্যে সৌদি আরব রাশিয়াকে শিক্ষা দিতে  পেট্রোলিয়ামের দাম কমানোর ফলে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রসার রুখতে পদক্ষেপের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণেও পুঁজিবাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনীতির সহায়তা করতে সরকারি পর্যায়ে কিছু পদক্ষেপের ফলে কিছু সুবিধা হলেও বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার জন্য তা সহায়ক হচ্ছে না। এখনো অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রায় ১৫,০০০ কোটি ডলার মূল্যের সরকারি সহায়তার ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সংকটের মেয়াদ সম্পর্কেও এই মুহূর্তে কোনো ধারণা না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে চরম বেকারত্বের সৃষ্টি হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ওপরও উপযুক্ত পদক্ষেপ  নেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে। গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক জরুরি বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনায় বসছে। ডয়েচে ভেলে

সর্বশেষ খবর