শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ইরাক, সিরিয়ায় পাল্টা মার্কিন হামলা

উভয় সংকটে ইরাক

বুধবার ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ওপর রকেট হামলার পর বৃহস্পতিবার ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্কের ফলে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেলেও অনেক প্রান্তে সামরিক সংঘাত বন্ধ হচ্ছে না। বুধবার বাগদাদ শহরের বাইরে তাজি সামরিক ঘাঁটির ওপর হামলায় দুই মার্কিন ও এক ব্রিটিশ সৈন্য নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার পর মার্কিন বাহিনী এমন প্রতিশোধমূলক হামলা চালাল। কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর কমপক্ষে ১৮টি রকেট হামলা চালানো হয়েছিল। তারপর আমেরিকা ও ব্রিটেন এর পর পাল্টা হামলার ইঙ্গিত দেয়। আপাতত আমেরিকার নিশানা কাতাইব হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই গোষ্ঠীর পাঁচটি অস্ত্রের গুদামের ওপর হামলা চালানো হয়। ফলে এই গোষ্ঠী ভবিষ্যতে আমেরিকার নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর সহজে হামলা চালাতে পারবে না বলে আশা করছে ওয়াশিংটন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই নিয়ে তিনবার কাতাইব হেজবোল্লাহর ওপর হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ভবিষ্যতেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একই রাতে ইরাকের সীমান্তের কাছে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে কমপক্ষে হাশাদ আল শাবি গোষ্ঠীর ২৬ জন শিয়া মিলিশিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের ধারণা, কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে সেখানে মার্কিন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। ইরাকের ভূখন্ডে ইরানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা মেনে নেওয়া আমেরিকার জন্য মোটেই সহজ নয়। তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে বাধ্য হয়ে ইরানের সঙ্গে সহযোগিতার পথে  গেলেও দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক সংঘাত সম্প্রতি বেড়ে চলেছে।

ইরাকের সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় সংকটে পড়েছে। প্রেসিডেন্টের দফতর কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর বুধবারের হামলার নিন্দা করেছে। এর ফলে ইরাকও সে  দেশের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।  সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ইরাকের    সরকারের অনুরোধেই কোয়ালিশন বাহিনী আইসিস সন্ত্রাসবাদীদের দমনের কাজে সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে মার্কিন  সৈন্যদের উপস্থিতি নিয়ে দেশে অসন্তোষের ফলে ইরাকের সরকার চাপের মুখে রয়েছে। বিশেষ করে ইরাকের ভূখন্ডে ইরানের কুদস বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যাকান্ডের পর থেকে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। জানুয়ারি মাসে ইরাকের সংসদ এক প্রস্তাব পাস করে সরকারকে দেশ থেকে বিদেশি সৈন্য দূর করার নির্দেশ দিয়েছে। ডয়েচে ভেলে

 

সর্বশেষ খবর