বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লাখ ব্রিটেনে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লাখ ব্রিটেনে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এমন এক পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ম্যাথমেটিক্যাল বায়োলজির অধ্যাপক নিল ফার্গুসনের গবেষণা ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের। দিন যত যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনেও করোনার প্রভাব ততই প্রবল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। আক্রান্ত ১৯৫০ জন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৩৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১৬ জনের। কিন্তু সতর্কতার মাত্রা না বাড়ালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২  লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে আমেরিকায় এবং এই সংখ্যাটা ব্রিটেনের ক্ষেত্রে ৫ লাখ। এমনটাই দাবি করেছেন ব্রিটেনের গবেষকরা। অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের মোকাবিলায় আমেরিকায় প্রবেশে  ইউরোপীয়দের উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে ব্রিটেনের করোনা-পরিস্থিতি ইতালি বা ইরানের মতো ভয়াবহ না হলেও ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে সে দেশের সরকার। করোনা মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে বরিস জনসন সরকার। মূলত, ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পর্যবেক্ষণের পরই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন।

সাম্প্রতিককালে চীন ছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যুর হার হু হু করে বেড়েছে ইতালিতে। ইতিমধ্যেই আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে  সে দেশে। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার থেকে হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারেরও উপরে। সেই ইতালি  থেকেই করোনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ওই পর্যবেক্ষণ করেছে ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষকরা। ১৯১৮ সালে বিশ্ব জুড়ে ফ্লু-এর কারণে যে অতিমারি (মহামারির চেয়ে ভয়াবহ) হয়েছিল, তার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে করোনাকে। গোটা বিশ্বে ৫ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর