অবশ্যম্ভাবী ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু সময়ের। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাই দিলেন কমলনাথ। পতন হলো কংগ্রেস সরকারের। গতকাল ভোপালে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তিনি। সেখানেই নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। কমলনাথ বলেন, ‘কোনোকালেই লেনদেনের রাজনীতির অংশ ছিলাম না আমি। দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেউ এ নিয়ে আমার দিকে আঙ্গুল তুলতে পারবেন না।’ সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই রাজ্যপাল লালজি টন্ডনের কাজে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান তিনি। সম্প্রতি রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর থেকেই কমলনাথের পথ হারানোটা ছিল সময়ের ব্যাপার। ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি তার প্রাক্তন সহকর্মী এবং বর্তমানে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রবল সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে সমালোচনা করেছেন বিজেপির। তিনি মন্তব্য করেন, ‘সকলে দেখেছেন, কীভাবে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলো। কীভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিল বিজেপি। কীভাবে ক্ষমতালোলুপ মহারাজা তাঁর অনুগামী ২২ জন লোভী বিধায়ককে প্রভাবিত করলেন।’ গোয়ালিয়ার রাজপরিবারের সন্তান বলে জ্যোতিরাদিত্যকে তাঁর অনুগামীরা ‘মহারাজ’ বলে ডাকেন। জানা গেছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার পরই তাঁর অনুগামী ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেন। সেই থেকে বেঙ্গালুরুর একটি রিসোর্টে রয়েছেন তাঁরা। জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বিজেপিই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এদিন দাবি করেন কমলনাথ। তিনি বলেন, ‘আমার সরকারকে উৎখাত করতে মহারাজার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি।’