বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ইউরোপের কোথায় কেমন ‘লকডাউন’

কভিড-১৯ যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য ইউরোপের সর্বত্র জনজীবনের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সেই কড়াকড়িগুলো কেমন?

ইতালি : ইতালিতে গত ৯ মার্চ সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ছয় কোটি জনগোষ্ঠীকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যথায় ৪০০ থেকে তিন হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। স্পেন : গত ১৪ মার্চ সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। দেশের ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এ অবস্থা কার্যকর থাকবে। ফ্রান্স : ১৭ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। চলবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু বাড়ানো হতে পারে। ঘর থেকে বেরোতে হলে একটি ফরম পূরণ করে কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়। দিনে একবার শরীরচর্চা করতে এক ঘণ্টার জন্য একা বের হওয়া যাবে। এ ছাড়া ঘরের এক কিলোমিটারের মধ্যে হেঁটে আসা যাবে। না মানলে ১৩৫ ইউরো থেকে ৩৭০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা। জার্মানি : ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানি তার ৮ কোটি জনগণের জন্য অত কড়াকড়ি আরোপ করেনি। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে নিয়ম করে দিয়েছে, যেমন, ঘরের বাইরে ভিন্ন পরিবারের দুজনের বেশি একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা না মানলে কোনো কোনো রাজ্যে ২৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। যুক্তরাজ্য : ২৩ মার্চ লকডাউনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ বা যাদের অফিসে যেতেই হবে তারা বাইরে যেতে পারেন।   অস্ট্রিয়া : অস্ট্রিয়াও কিছুটা শিথিল। ৯০ লাখ মানুষের দেশটিতে গত ১৬ তারিখ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, যা বলবৎ থাকবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। কেউ নিষেধাজ্ঞা না মানলে ৩৬০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। বেলজিয়াম : গত ১৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল অবধি লকডাউন ঘোষণা করে বেলজিয়াম। তবে তা আট সপ্তাহ বা এর বেশিও হতে পারে। পর্তুগাল : ১৯৭৬ সালে গণতন্ত্র ফেরত পাওয়ার পর এই প্রথম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। ২ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে তা।

সর্বশেষ খবর