শিরোনাম
শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা নিয়েও সর্বনাশা খেলায় মগ্ন পাকিস্তান

করোনা নিয়েও সর্বনাশা খেলায় মগ্ন পাকিস্তান

করোনা নিয়েও সর্বনাশা খেলায় মেতেছে পাকিস্তান। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুরু হয়েছে মৃত্যুর মিছিল। পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এ দুঃসময়েও ক্ষমতার গন্ধ পেতে শুরু করেছে। অসহায় ইমরান খানের সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ। জটিল পরিস্থিতিতেও লকডাউন ঘোষিত হয়নি। জুমার নামাজও চলছে সেনাবাহিনী আর মৌলবাদীদের দাপটে। সেনাকর্তারা নিজেদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কভিড-১৯ আক্রান্তদের আইসোলেশনের সব ব্যবস্থা করেছে ভারত ও আফগান সীমান্তে। করোনা সন্ত্রাসকেও তারা পাঠাতে চায় প্রতিবেশী দেশে। করোনা সংকটেও ত্রাণ বিলিতে পাকিস্তানের অমানবিক চরিত্রটাই বড় করে দেখা দিয়েছে। সে দেশের হিন্দুদের সব ধরনের সাহায্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান সরকার। ভারতের ১৩০ কোটির তুলনায় পাকিস্তানের জনসংখ্যা অনেক কম। ২০ কোটি। তবু সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৬৫। মৃত ২৫। আরও বেশ কয়েকজন আক্রান্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবু লকডাউন ঘোষণা হয়নি। বলা ভালো, করতে পারেননি ইমরান খান। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর মৌলবাদী নেতাদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে লকডাউন ঘোষণা করার মতো হিম্মতই নেই পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর। তাই ইমরান এখন ব্যস্ত মিডিয়াকে দোষারোপ করতে। দেশটির জনতার কাছে তার আবেদন, ‘করোনা সামান্য ব্যাপার। আতঙ্কিত হবেন না।’ করোনা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশই উদ্বিগ্ন। সেটা বোঝা যায় সার্কের মার্চ মাসের শীর্ষ সম্মেলনে। ভিডিও সম্মেলনে সব সদস্য দেশের শীর্ষ নেতারা যোগ দিলেও ইমরান খান ছিলেন অনুপস্থিত। তার স্বাস্থ্যবিষয়ক সহকারী ডা. জাফর মির্জা অবশ্য ছিলেন। সেখানে ঠিক হয় করোনা মোকাবিলায় ১৮.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল গঠিত হবে। আফগানিস্তানের মতো দেশও সেই তহবিলে অর্থদানে সম্মত হয়। কিন্তু পাকিস্তান এখনো এক পয়সা দেয়নি।

উল্টো তহবিলের সঠিক ব্যবহারের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। করোনা প্রতিরোধে পাকিস্তানের আন্তরিকতার অভাব ধরা পড়ে সার্ক দেশগুলোর চোখেও। করোনায় পাকিস্তানের মানুষ আতঙ্কিত। পাকসেনারাও ভয় পেয়েছেন করোনার প্রকোপে। তাই করোনা আক্রান্তদের মূল ভূখ  থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অথবা উত্তরের গিলগিট-বাল্টিস্তান, বালুচিস্তানের দিকে। সেখানেই তৈরি হচ্ছে যাবতীয় আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। উদ্দেশ্য একটাই। করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে হবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে। নিউইয়র্ক টাইমস ২৬ মার্চ তো লিখেই দিয়েছে, ইমরান দুর্বল।

সর্বশেষ খবর