শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

শিশুদের কী কী সাবধানতা মানা জরুরি

শিশুদের কী কী সাবধানতা মানা জরুরি

কভিড-১৯ এর ত্রাসে বিশ্ব কোণঠাসা। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শিশুরা এই অসুখের অন্যতম বড় টার্গেট। এই ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশুর শরীরে সেভাবে কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। তাই খুব সতর্ক থাকাটা বিশেষ প্রয়োজনীয়। ভারতের আনন্দবাজার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে যা বলা হয়েছে-

কভিড-১৯ এর ত্রাসে বিশ্ব কোণঠাসা। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শিশুরা এই অসুখের অন্যতম বড় টার্গেট। এই ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশুর শরীরে সেভাবে কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। তাই খুব সতর্ক থাকাটা বিশেষ প্রয়োজনীয়। ভারতের আনন্দবাজার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে যা বলা হয়েছে-

রোগের উপসর্গ : আর পাঁচটা সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা জ্বর, শুকনো কাশি, গলাব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, বমি ভাব, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগে।

কীভাবে ভাইরাসটি ঢোকে শিশুদের শরীরে : শিশুদের সংক্রমণ সাধারণত দুভাবে হতে দেখা যায়। প্রথমত, কোনো কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ থেকে রোগ ছড়াতে পারে। অথবা কভিড-১৯ হচ্ছে এমন জায়গায় ঘুরে আসার পরও এই রোগ সংক্রমণ হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে হাঁচি, কাশির মধ্য দিয়ে নির্গত থুতুর ড্রপলেট অথবা কোনো সারফেস থেকে আসা ভাইরাস হাতের মাধ্যম দিয়ে চোখ, নাক, মুখ দিয়ে শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে যায়।

শিশুদের থেকে কীভাবে রোগ ছড়াতে পারে : গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশের লক্ষণ সেভাবে প্রকাশ পায় না। ফলে এই শিশুরা বাড়ির অন্যদের কাছে সুস্থ হিসেবেই বিবেচিত হয়। পরিবারের অন্য সদস্য, বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে তারা রোগ সংক্রমিত করতে থাকে। তা ছাড়াও কোলের শিশুরা যেহেতু হ্যান্ড হাইজিন আর কাফ এটিকেট মানার ঊর্ধ্বে, তাই অল্প লক্ষণযুক্ত শিশুরাও হাঁচি-কাশি ও হাতের মাধ্যমে অন্যদের রোগ সংক্রমিত করতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ২৯ শতাংশ কভিড-১৯ আক্রান্ত?শিশুর মলের নমুনায় এই ভাইরাসের অস্তিত মিলেছে। অর্থাৎ এরা মলের মাধ্যমেও  রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।

ফ্লু হলে কী করণীয় : ফ্লু হলই শিশুর ব্যবহৃত সব বাসনপত্র ও গামছা আলাদা করতে হবে। দিন দুয়েকে দেখতে হবে শিশুর কোনো রকম শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে কিনা। হলেই দ্রুত কভিডের পরীক্ষা করতে হবে। টেস্ট পজিটিভ হলে ভয় না পেয়ে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে সুস্থ করে তোলার কাজে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। সাধারণ ফ্লু হলে শিশুদের এই কদিন পরিবারের সব সদস্যের কাছে তাকে যেতে দেওয়া যাবে না। যিনি শিশুর দেখভাল করবেন, তিনি মাস্ক পরে ও ঘন ঘন হাত ধুলে আর রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকবে না। বাড়ির বয়স্কদের থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। শৌচের সময় শিশু বা শৌচ করানোর দায়িত্বে থাকা মানুষটিকে খুব ভালো করে সাবান দিতে হবে হাতে। যিনি পরিষ্কার করবেন, তার হাতে কোনো আংটি বা তাবিজ-কবজ না থাকলেই ভালো, এতে জীবাণুমুক্ত হতে অসুবিধা হয়। শিশু যেন চোখ-নাক-মুখে হাত না  দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। যারা বয়সে একটু বড়, তাদের কাফ এটিকেট ও বার বার হাত ধোয়ার নিয়ম জানিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে সে মেনে চলছে কিনা।

ছোটদের খাবারের মধ্যে সুষমভাবে প্রোটিন, শাকসবজি ও পানীয় ঠিক করে খাওয়ালে, ভালো করে ঘুমালে শিশুর ইমিউনিটি বৃদ্ধি পাবে ও  রোগের সঙ্গে তারা লড়তে পারবে।

সর্বশেষ খবর