সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

লকডাউন : মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে গৃহনির্যাতন

লকডাউন : মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে গৃহনির্যাতন

কারফিউ জারি বা লকডাউন করে বিশ্বের সব  দেশেই কভিড-১৯ মহামারী আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও এর বাইরে নয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে এই লকডাউনের সময় ?গৃহনির্যাতন কয়েকগুণ বেড়ে  গেছে।  পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার  দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত নারীদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিশেষ করে ইয়েমেন, মরক্কো ও মিসরের এক-চতুর্থাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। গত সপ্তাহে তিউনিসিয়ার নারীবিষয়ক মন্ত্রী আসমা শিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তার দেশে হোম  কোয়ারেন্টাইনের সময় গৃহনির্যাতন আশঙ্কাজনক?হারে  বেড়ে গেছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ?মাসের মাঝামাঝিতে কারফিউ জারি করে তিউনিসিয়া সরকার। তারপর থেকে গৃহনির্যাতন পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে। অথচ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অর্ধেকের বেশি দেশে গৃহনির্যাতন রোধে আইন কাছে। বাস্তবে  এর কর্যকারিতা অবশ্য দেখা যায় না বললেই চলে। ডয়েচে ভেলে তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লকডাউনে এর এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই বাড়ির ভিতরে অনেক সময় ধরে থাকার কারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে স্বামীরা। শুধু স্ত্রী নয় সন্তানরাও এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। অনেক নারী জানিয়েছেন, স্বামী কাজের কারণে বাইরে থাকলেই কেবল বাড়িতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু এখন সরকারের কড়াকড়ির কারণে তার স্বামী কাজের জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। তাদের ও তাদের সন্তানদের ওপর নির্যাতন বেড়ে গেছে।  গৃহকর্মের চাপও বেড়েছে : সাধারণত নারীরাই ঘরের কাজ সামলান। লকডাউনের এই সময়ে তাদের ওপর কাজের চাপ আরও বেড়েছে। লেবাননের সমাজকর্মী রানিয়া সুলেইমান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবারের সব লোক সারাদিন বাড়িতে থাকছেন। তাদের প্রয়োজন  মেটাতে নারীরা বাড়তি চাপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। স্বামীরা ঘরে থাকায় স্ত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে, না পারলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।’

সর্বশেষ খবর