মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টাইনে ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক

জাপানে জরুরি অবস্থা জারি

সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টাইনে ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক

সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের বড় একটি অংশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দা। সেই অভিবাসীরা এখন বিপদে। করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে সিঙ্গাপুরে ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এজন্য শ্রমিকরা থাকেন এমন দুটি ডরমেটরি অর্থাৎ আবাসস্থলকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। পাঙ্গল এলাকায় এস-১১ ডরমেটরিতে ১৩ হাজার শ্রমিক থাকেন, যেখানে ইতিমধ্যে ৬৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত  হয়েছে।  ওয়েস্টাইল টোহ গুয়ান ডরমেটরিতে ৬ হাজার ৮০০ শ্রমিক থাকেন যাদের মধ্যে ২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দুটি আবাসিক এলাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের নিজেদের কামরা ও ব্লক থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের রুম বা ফ্লোরে থাকে না, এমন মানুষদের সঙ্গেও মিশতে নিষেধ করা হয়েছে। ডরমেটরিতে থাকা শ্রমিকদের রোজ তিনবেলা করে খাবার দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। একেক কামরায় বসবাসরত মানুষের সংখ্যা একেক ডর্মে একেক রকম। কিন্তু ২০১৫ সালে বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল কোনো কোনো কামরায় ১২ জন পর্যন্ত অবস্থান করেন। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ যদিও আগাম সতর্কতামূলক অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু দেশটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে  চলেছে। আজ থেকে দেশটিতে লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে।

জাপানে জরুরি অবস্থা : করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জাপানের সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ওই বৈঠকের পরই জরুরি অবস্থা জারি হয়। এখন পর্যন্ত জাপানে ৩৬৫৪ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৫ জন।

নিউইয়র্কে আক্রান্তের হার হ্রাস : নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমেছে। রবিবার ওই রাজ্যে মোট ৫৯৪ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন, আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ৬৩০ জন। গতকাল ১৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ জন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘সুড়ঙ্গের শেষে আলোর দেখা পাওয়া গেছে’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে মার্কিন উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউচি মৃত্যুর হার কমাকে সাময়িক অগ্রগতি বলে মনে করেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মার্কিন সার্জন জেনারেল জেরোমি অ্যাডামস, তিনি মনে করেন আগামী সপ্তাহগুলো হবে ‘খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং’। এদিকে   যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২০০ মানুষ মারা গেছেন। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসি, ডেট্রয়েট এবং নিউ অর্লিয়েন্সে এখনো করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিবিসি

সর্বশেষ খবর