বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

চীন থেকে আমেরিকা ফিরেছিল সাড়ে চার লাখ মানুষ

ভয়ঙ্কর অবস্থার শুরু সেখান থেকেই

কবে মানবজীবন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে তা এখন বলা বিষম দায়। অচেনা শত্রু করোনার দাপটে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। প্রকৃতির এমন রুদ্র রূপ পৃথিবী দেখেনি অনেক দিন। নিজের জীবন বাঁচাতে চারিদিকে শুধুই ত্রাহি ত্রাহি রব। জীবন-মরণের এই রূপ শুরু হয় মাস তিনেক আগে চীন থেকে। এরপর বিপুল বিক্রমে গোটা বিশ্বে। করোনাভাইরাসের জন্মস্থান চীন যখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে, তখন মরণ এই ব্যাধির সঙ্গে বাকি বিশ্বের মানুষের কঠিন লড়াই চলছে। আর চীন, ইউরোপ, ইরানের পর যুদ্ধক্ষেত্র এখন ট্রাম্পের দেশ আমেরিকা। পরাক্রমশালী এই দেশ এখন অদেখা শত্রুর আক্রমণে তটস্থ। দেশটিতে আক্রান্ত প্রায় পৌনে চার লাখ আর মারা গেছেন প্রায় ১১ হাজার। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। আর এমন অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা হতবাক করে দিয়েছে গোটা যুক্তরাষ্ট্রকে। জানা গেছে, করোনা গত বছরের শেষ দিন চীনের উহান প্রদেশে প্রথম ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই সময় উহান প্রদেশসহ চীনের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন নাগরিক বিমানে করে আমেরিকা যান। ফলে চীন সেই সময় ভাইরাস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য চেপে যাওয়ায় এই মার্কিনিরা কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই দেশে প্রবেশ করে। যার প্রভাব টের পাচ্ছে এখন। রবিবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত তথ্যে নতুন এই খবর জানা গেছে। গত ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চীন ও আমেরিকা এই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে। যদিও তখনো  ভাইরাস-সংক্রান্ত গোটা বিষয়টি চীন বিশ্ববাসীর সামনে পরিষ্কার করে তুলে না ধরায়, আন্তর্জাতিক পরিবহনের ক্ষেত্রে তখনো কোনো কড়া পদক্ষেপ নেয়নি আমেরিকা। এখন মনে হচ্ছে ওই যাত্রীদের অনেকে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। ধীরে ধীরে তারাসহ তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া সেই সময় প্রায় ৪৩ হাজার যাত্রী সরাসরি উহান থেকে আমেরিকায় এসেছে।

সর্বশেষ খবর