শিরোনাম
শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা হতে পারে জঙ্গিদের হাতিয়ার

করোনা হতে পারে জঙ্গিদের হাতিয়ার

অ্যান্তোনিও গুতেরেস

করোনাভাইরাস হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসবাদীদের হাতিয়ার। জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস দিলেন এমনই এক উদ্বেগজনক তথ্য। তিনি জানান, মানুষ মারতে কিছু সন্ত্রাসবাদী করোনাভাইরাসকে জৈব মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। বৃহস্পতিবার ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির অধীনে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

গত তিন মাস ধরে করোনা আতঙ্কে ‘ত্রাহি-  ত্রাহি’ অবস্থা গোটা বিশ্বে। আর তার মাঝেই নতুন এক আশঙ্কার কথা শোনালেন জাতিসংঘের মহাসচিব। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসেছিল। ওই বৈঠকেই জাতিসংঘের মহাসচিব প্রতিটি দেশকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘করোনার মোকাবিলা নিয়ে প্রতিটি দেশ ব্যস্ত। আর তার সুযোগ নিতে   পারে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। জৈব অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তাই বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।

এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস নিয়ে তিনি বলেন, এটি একটি প্রজন্মের লড়াই। মহামারীর আকার নেওয়া করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত যুদ্ধে জিততে না পারলে তা মানবজাতির বড়সড় ক্ষতি করতে পারে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ভাইরাস বর্তমানে হুমকির কারণ হয় দাঁড়িয়েছে বলেও জানানো হয়। যার ফলে সামাজিক অস্থিরতা যেমন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে, তেমনি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতাও ক্ষুণœ হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে এখন প্রায় প্রত্যেক দেশেরই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুতির অভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর ঠিক এই সময়েই হামলা চালাতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। তিনি আরও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীরা করোনাভাইরাস হামলা চালালে সারা বিশ্ব ধ্বংসের সম্মুখীন হবে এবং মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। তাই এই পরিস্থিতিতে তিনি আন্তর্জাতিক, দেশীয় বিভিন্ন দ্বন্দ্ব বর্তমানে বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

জনস হপকিংস বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে জানিয়েছে, সারা বিশ্বে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত।

আর এই ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এক লাখ মানুষের। এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস দ্বারা সন্ত্রাসবাদী হামলার যেমন ঝুঁকি রয়েছে তেমনি অন্য দিকে মানবাধিকারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন শরণার্থী, ঘরবাড়ি সম্পত্তি হারানো মানুষদের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ব অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে এই ভাইরাস। কারণ ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেকারত্ব ও ব্যবসায় আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এই সময় অন্তত সারা বিশ্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান।

তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ থেকে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ করোনা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও ইতিমধ্যেই তিনি মানবিক সংকটের মুখোমুখি দেশগুলোর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে হিউম্যানিটি রেসপন্স প্ল্যান  চালু করেছেন। এএফপি

সর্বশেষ খবর