শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সৌদি রাজপরিবারে ১৫০ সদস্য করোনায় আক্রান্ত

সৌদি রাজপরিবারে ১৫০ সদস্য করোনায় আক্রান্ত

প্রিন্স ফয়সাল বিন বন্দর করোনায় আক্রান্ত

সৌদি আরবের রাজপরিবারের কমপক্ষে দেড়শ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেশটিতে এ মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা শনাক্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর নিউইয়র্ক টাইমস এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সদস্যের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, উপশাখার সদস্যসহ সৌদি রাজপরিবারের অন্তত ১৫০ সদস্য এখন এ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন বন্দর বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। সম্প্রতি ইউরোপ ভ্রমণকারী রাজপরিবারের কয়েকজন সদস্যও এ তালিকায় আছেন। রাজপরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য অসুস্থতাবোধ করছেন বলে খবর বের হয়েছে। সৌদি বাদশাহ সালমান রাজপরিবার ছেড়ে জেদ্দার কাছে লোহিত সাগরের একটি দ্বীপে অবস্থান করছেন। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন দূরবর্তী এলাকায় অবস্থান করছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, দেশটির প্রসিদ্ধ সব চিকিৎসক সৌদি রাজপরিবারের ৫০০ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেখানে রাজপরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাসের সন্দেহভাজন তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। ২ মার্চ সৌদিতে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭৭৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সৌদি সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সৌদি আরবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওমরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হজের বিষয়ে আরও দেরি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে মুসলমানদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ মঙ্গলবার বলেন, সৌদিতে মহামারীর প্রভাব সবে শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ হাজার থেকে দুই লাখ মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তার বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চই লাখ পর্যন্ত হতে পারে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতিমধ্যেই কারফিউ জারি করা হয়েছে রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, মদিনা ও আরও কিছু শহরে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর