শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার প্রকোপে মাথাপিছু আয় কমবে ১৭০ দেশে

করোনার প্রকোপে মাথাপিছু আয় কমবে ১৭০ দেশে

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার

১৯৩০ সালের মহামন্দার পর বিশ্ব সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। তবে শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা কোথায় যাবে তার কল্পনা এখনো করা যাচ্ছে না। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ‘তীব্র নেতিবাচক’ হবে। তবে ২০২১ সাল নাগাদ তা আংশিক পুনরুদ্ধার হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশে  দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে ছাঁটাই করছেন কর্মীদের। জর্জিয়েভা বলেন, এর ফলে উন্নয়নশীল  দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে, শত শত বিলিয়ন ডলার বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে। মাত্র তিন মাস আগে আমাদের সদস্য ১৬০টি দেশের মাথাপিছু আয়ে প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করেছিলাম। আজ এই পরিসংখ্যান একদম ঘুরে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি ১৭০টি দেশে মাথাপিছু আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করছি আমরা। জর্জিয়েভা বলেন, যদি এই বছরের মাঝামাঝি এসে এই মহামারীর প্রকোপ কমে তাহলে আগামী বছর আংশিক পুনরুদ্ধার হতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে তিনি সতর্ক করেছেন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তিনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলছি কি হবে তা নিয়ে প্রচ  অনিশ্চয়তা আছে। কত দিন এই মহামারী থাকবেসহ বেশ কিছুর ওপর নির্ভর করে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হতে পারে। আগামী সপ্তাহে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম সতর্ক করে বলেছে, করোনা মহামারী বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে  ঠেলে দেবে। দাতব্য সংস্থাটি বলছে, মহামারীটি শেষ হওয়ার পর বিশ্বের ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার অর্ধেক লোক দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে পারে। গতকাল দীর্ঘ আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের  নেতারা ৫৪৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর