মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
ফরাসি সংস্থার দাবি

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে বিপদ বাড়ছে

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে বিপদ বাড়ছে

কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে মাস তিনেকের বেশি সময়। এরই মধ্যে এর প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষের। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৯ লাখ মানুষ। কভিড-১৯ এর কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বব্যাপী চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে জাপান দাবি করেছে তাদের তৈরি অ্যাভিগান ওষুধ কভিড-১৯ এ বেশ কার্যকর। আবার ভারত বলছে তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি মজুদ ম্যালেরিয়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কভিড-১৯ এ কার্যকর। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো হুমকি দিয়ে বিমান ভর্তি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ভারতের কাছ থেকে আমেরিকায় নিয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি কভিড-১৯ খতম করতে সক্ষম এই দাওয়াই? এহেন পরিস্থিতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলে দাবি করল ফ্রান্সের একটি সংস্থা। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মূলত ম্যালেরিয়ার ওষুধ। ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল ড্রাগ সেফটি এজেন্সি’ এএনএসএমের দাবি, ম্যালেরিয়ার ওষুধ করোনার বিরুদ্ধে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারে সেই অর্থে সফলতা আসেনি। বরং ওষুধটির প্রয়োগের পর ১০০ জন করোনা রোগীর অবস্থা আরও অবনতি ঘটেছে। শুধু তাই নয়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগের পর অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তিনজন অবশ্য সুস্থ হয়েছেন। তাই এজেন্সির পরামর্শ, করোনার বিরুদ্ধে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শে করতে হবে। ডাক্তারদের মতামত না নিয়ে, ওষুধটি কিনে বাড়িতে পরীক্ষা মূলকভাবে খেলে ফল হতে পারে মারাত্মক। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী হতে পারে তা প্রথম দাবি করেন ফ্রান্সের গবেষক দিদিয়ের রাউল্ট। যদিও তার গবেষণার ধরন নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে এই ওষুধের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা আগেই বলে দিয়েছেন, এই ওষুধের প্রয়োগ সব শরীরের জন্য নয়। হৃদরোগীদের একটা শ্রেণির ক্ষেত্রে এই ওষুধ ‘কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া’ নামের হৃদরোগ ডেকে আনে। বেশকিছু সমস্যা যেমন সোরিয়াসিস, পরফাইরিয়া, লিভারের অসুখ, অ্যালকোহলিজম ইত্যাদি থাকলে ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় বড় ক্ষতি হতে পারে। আর বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ওষুধের ব্যবহার হার্ট ব্লক পর্যন্ত করে দিতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর