শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

তাড়াহুড়ো নয়, লকডাউন তোলার গাইডলাইন তৈরি করে দিল হু

তাড়াহুড়ো নয়, লকডাউন তোলার গাইডলাইন তৈরি করে দিল হু

কেমন করে থামানো যাবে করোনার সংক্রমণ। এ নিয়ে দিনরাত চলছে গবেষণা। এন্তার টাকা-পয়সা খরচ করছে বিভিন্ন রাষ্ট্র, সংস্থা ও দাতব্য সংস্থাগুলো। আপাতত করোনা থেকে মুক্তি পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশনা মতো প্রায় গোটা বিশ্বে চলছে লকডাউন। যা বিশ্ব অর্থনীতিকে থামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাই বলে তো বছর ধরে এভাবে ঘরবন্দী থাকা সম্ভব নয়। এমনিতেই টানা লকডাউনের ফলে বহু   মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ফলে    পথ খোঁজা হচ্ছে লকডাউন তুলে নেওয়ার।   তাই যে দেশগুলোতে এখন লকডাউন চলছে, তাদের এই বন্দীদশা কাটানোর উপায় বাতলে দিল হু। বলা ভালো, একটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হলো। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন তোলা যাবে না।

কী আছে হুর সেই গাইডলাইনে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে লকডাউন তুলতে হলে অন্তত ৬টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আক্রান্ত  দেশগুলোকে।

১। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো, যন্ত্রপাতি, আইসোলেশন ওয়ার্ড, ভেন্টিলেশন সবকিছু পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে হবে যাতে কোনো বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি সামাল    দেওয়া যায়।

২। সমগ্র দেশের সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

৩। স্কুল, কলেজ, অফিস প্রভৃতি জনবহুল জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে করোনা না ছড়িয়ে পড়ে।

৪। হাসপাতাল, নার্সিং হোমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

৫। কোনো কঠিন পরিস্থিতি হলে তা সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে হবে।

৬। নতুন স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সবাইকে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।

এই গাইডলাইন জারি করে হু প্রধান তেদরোজ আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, ‘আমরা জানি এই ভাইরাস জনবহুল জায়গা থেকে ছড়ায়।

আবার আমরা এটাও জানি, শুরু থেকে রোগীকে শনাক্ত করে, পরীক্ষা করে আইসোলেট করতে পারলে এমনিই এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে এমনিতেই জনবহুল এলাকায় থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসার সুযোগ ন্যূনতম। লকডাউনের জেরে তারা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের বাড়িতে   থাকা মানে খাবার জোগাড়ের চিন্তা। এভাবে লকডাউন চললে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের চলবে কীভাবে?’

সর্বশেষ খবর