রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ঝুঁঁকি সত্ত্বেও সীমান্ত খুলে দিতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের অভিঘাতে অচল হয়ে পড়া দেশের অর্থনীতি সচল করার লক্ষ্যে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টাইশের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বোলসোনেরো বলেন, সীমান্ত খোলার পর করোনাভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করলে দায় তার ওপরই এসে পড়বে। তা সত্ত্বেও তিনি আইনমন্ত্রী সার্জিও মোরোর সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ বিশেষ করে উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের সঙ্গে থাকা সীমান্তগুলো খুলে দেওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা বলেছেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধের জেরে কট্টর ডানপন্থি এ প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ এনরিক মেনদেতাকেও বরখাস্ত করেছিলেন। গত সপ্তাহে টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুইজ জনগণকে ঘরে থাকতে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ দিয়েছিলেন। এ নিয়েই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন করোনাভাইরাসকে ‘সামান্য ফ্লু’ বলে অ্যাখ্যা দেওয়া বোলসোনেরো। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই কভিড-১৯-কে হালকা করে দেখছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অপ্রমাণিত চিকিৎসা পদ্ধতিকে উৎসাহিত করেও সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

 অন্যদিকে লুইজ সারা বিশ্বে যে নীতি অনুসৃত হচ্ছে, সেই লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের পদক্ষেপেই আস্থা রাখতে চেয়েছিলেন। শুক্রবার বোলসোনেরো জানান, সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা ও লকডাউন নিয়ে তার অবস্থান ভিন্ন হলেও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও শহরের বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। এসব সিদ্ধান্ত কেবল অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ও শহরের মেয়ররাই দিতে পারেন বলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে জানিয়েছিল। দেশটির আইন অনুযায়ী, সীমান্ত বন্ধ ও খুলে দেওয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতেই থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত মাসে ব্রাজিল প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিলেও পণ্য পরিবহন চালু ছিল। গতকাল পর্যন্ত ব্রাজিলে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২১৭১।

সর্বশেষ খবর