প্রতিবেশী দেশের জন্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) নীতিতে বড়সড় বদল আনল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত নীতিতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আছে এমন প্রতিবেশী দেশের কোনো সংস্থা বা নাগরিক ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইলে আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে, তারা অটোমেটিক রুটে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানত চীনের কথা মাথায় রেখেই এফডিআই নীতিতে এই রদবদল আনল মোদি সরকার। কারণ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার শেয়ার কিনছে চীনের একাধিক সংস্থা। তাই চীন যাতে ভারতীয় সংস্থাগুলোকে অধিগ্রহণ করতে না পারে- তা নিশ্চিত করতেই সরকারের এই পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে ভারতের অন্যতম ঋণদায়ী সংস্থা হাউজিং ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশন (এইচডিএফসি)-এর ১.০১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়না’ (পিবিওসি)। এনিয়ে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে সে সময় উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের এই নতুন পদক্ষেপেরই পরই গত শনিবার ট্যুইট করে তার প্রশংসা করেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুইটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি অটোমেটিক রুট-যেখানে বিনিয়োগে ইচ্ছুক সংস্থাগুলোকে সরকারি সম্মতি নিতে হয় না। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। আগের এফডিআই নীতিতে সব সেক্টরেই বিনিয়োগের জন্য প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সব সংস্থাকেই সরকারিভাবে অনুমোদন নিতে হতো। এবার সেই নিয়মের আওতায় আনা হলো চীনের সংস্থাগুলোকেও।