মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বিস্ফোরক দাবি নোবেলজয়ী ফরাসি বিজ্ঞানীর

করোনা তৈরি করেছে চীন

বিস্ফোরক দাবি নোবেলজয়ী ফরাসি বিজ্ঞানীর

লুক মন্তাজিনিয়ের

করোনাভাইরাস নিয়ে আরও বেকায়দায় চীন। আমেরিকার অভিযোগের পালে দোলা দিলেন নোবেলজয়ী ফরাসি বিজ্ঞানী লুক মন্তাজিনিয়ের। তাঁর দাবি, করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি। উহানের গবেষণাগারেই তৈরি হয়েছে এই জীবাণু। ২০০৮ সালে এইচআইভি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন লুক মন্তাজিনিয়ের। ফলে তাঁর অভিযোগ ফাঁকা বুলি বা ভিত্তিহীন জল্পনা নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এক ফরাসি সংবাদমাধ্যমে মন্তাজিনিয়ের দাবি করেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে এইচআইভির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার জীবাণুও রয়েছে। যা অত্যন্ত সন্দেহজনক। কভিড-১৯-এর যে সব বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে, তা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হতে পারে না। তিনি আরও জানান, উহান ন্যাশনাল বায়োসেফটি ল্যাবেরটরিতে প্রায় দু’দশক ধরে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে। সম্ভবত,  সেখান থেকেই দুর্ঘটনাবশত এই ভাইরাসটি বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ‘উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’র ডিরেক্টর উয়ান ঝিমিং। তিনি দাবি করেন, ‘ইনস্টিটিউটে কী ধরনের গবেষণা হয়, ভাইরাস ও অন্যান্য নমুনা কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়, তা আমরা জানি। সেজন্য যথেষ্ট কঠোর নিয়মও মেনে চলা হয়। এই ভাইরাসটি যে কোনোভাবেই আমাদের ল্যাব  থেকে ছড়ায়নি, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।’ উল্লেখ্য, নানা মহলের দাবি, রহস্যময় এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে উহান প্রদেশের গোপন গবেষণাগার থেকেই। কোনো কোনো মহল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নাশকতা বা অন্তর্ঘাত করেই চীনের কোনো বিজ্ঞানী বা গুপ্তচর এই ভাইরাস ছড়িয়েছেন। ওয়াশিংটন  পোস্ট তাদের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, এই আরএনএ ভাইরাসকে চীন তৈরি  করেছে মারণাস্ত্র হিসেবেই। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোঁবলে হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা সম্ভব। উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিএসএল-৪ ল্যাবরেটরিতে অতি গোপনে এই জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল অনেকদিন ধরেই। টাইমস অব ইন্ডিয়া

সর্বশেষ খবর