বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

লন্ডনের ভুতুড়ে হাসপাতাল

তানভীর আহমেদ

লন্ডনের ভুতুড়ে হাসপাতাল

আইসিইউ, বেড সবই আছে কিন্তু চিকিৎসাকর্মী নেই বলে রোগীও নেই।

করোনার ভয়াবহতা সামাল দিতে লন্ডনে নয় দিনে প্রস্তুত করা হয় নাইটিঙ্গেল হাসপাতাল। এক সঙ্গে দুই হাজার করোনা রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে হাসপাতালটিতে। এমনটাই বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা একেবারে উল্টো। নার্স সংকটে দুই হাজার বেডের এ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৪১ জনের। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা। ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সেবা দিতে সব প্রস্তুতি থাকার পরও হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। বাধ্য হয়ে করোনা রোগীদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তারা। এত বড় হাসপাতালের এ চিত্র বলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সমন্বয়হীনতা ও দুর্বলতা কতটা। বিশাল হাসপাতাল এখন ভুতুড়ে হয়ে উঠেছে। তবে হাসপাতালটিতে এখনই এত রোগী রাখার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্রস হুইটি। খুব বেশি রোগী এ হাসপাতালে না আসাকে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ও সাফল্য বলেই মনে করেন তিনি। নাইটিঙ্গেল হাসপাতালে রোগী না থাকার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের চিফ এক্সিকিউটিভ স্যার সাইমন স্টিভেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা লন্ডনের বিভিন্ন হাসপাতাল ও অস্থায়ী হেলথ ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার করোনা রোগীকে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছেন। তাদের এই অসামান্য প্রচেষ্টায় এখনই নাইটিঙ্গেল হাসপাতালটিতে এত রোগী ভর্তির প্রয়োজন নেই। লোকজন ঘরে থেকেই করোনার সঙ্গে ভালো লড়াই করছে। হাসপাতালটিতে শেষ পর্যন্ত করোনা রোগী রাখার প্রয়োজন না হলে সেটা বড় সাফল্য। তবে যেভাবে করোনা রোগী বাড়ছে তাতে হয়তো এক সময় এটি পুরোদমে চালু করতে হবে।’ করোনা আক্রান্ত রোগীদের সামাল দিতে গত ৭ এপ্রিল এ হাসপাতালটি চালু করে যুক্তরাজ্য। ভেন্টিলেটর, আইসিইউ সুবিধাসহ করোনা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি পুরোদমে চালু করতে ১৬ হাজার কর্মীর প্রয়োজন হবে। পুরো লন্ডনে এখন নার্স তীব্র সংকট। যে কারণে হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু করা হয়নি। এদিকে রোগী বাড়তে থাকায় ও নতুন রোগীদের এ বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর