বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রনেতাদের সমালোচনায় হু প্রধান

রাষ্ট্রনেতাদের সমালোচনায় হু প্রধান

তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস

করোনা রুখতে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠতেই বিশ্বনেতাদের পাল্টা সমালোচনা করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস। তার দাবি, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের দেওয়া প্রাথমিক সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। আর সে কারণেই এ দেশগুলোকে এখন ভুগতে হচ্ছে। যে দেশগুলো এ সতর্কবার্তা মেনে চলেছে, তারা অনেক ভালো জায়গায় আছে। হু’র প্রত্যাহিক বিবৃতিতে সংস্থাটির প্রধান বলছেন, ‘আমরা যখন প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম তখনই আমাদের কথা শোনা উচিত ছিল। আমরা অনেক আগেই গোটা বিশ্বকে করোনা রুখতে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। আমরা জানিয়েছিলাম, করোনার উপসর্গ আছে এমন রোগীদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করাতে হবে। ওদের সংস্পর্শে যারা আসছে তাদের শনাক্ত করতে হবে। এবং আইসোলেট করতে হবে। কিন্তু আমরা তো শুধু পরামর্শ দিতে পারি। কোনো দেশকে আমাদের পরামর্শ শুনতে বাধ্য করার মতো অধিকার আমাদের নেই। যারা আমাদের কথা তখন শুনেছে, তারা এখন ভালো জায়গায় আছে। যারা শোনেনি তাদের ভুগতে হচ্ছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, তারা গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্বের সব দেশকে সতর্ক করেছিল। জানানো হয়েছিল, করোনাভাইরাসের ফলে সর্বোচ্চ স্তরের জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তখনো চীনের বাইরে গোটা বিশ্ব আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮২। গেব্রেয়াসিসের অভিযোগ, অনেক দেশই তখন তার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। আর সেই দেশগুলোকে এখন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আসলে তিনি নাম না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই সমালোচনা করতে চেয়েছেন। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যর্থতা আর চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব নিয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি সরব হয়েপ্রণ। আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া আর্থিক সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি, মার্কিন নাগরিকরা গেব্রেয়াসিসের পদত্যাগের দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযানও শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন গেব্রেয়াসিস। তাই এবার তিনি পালটা আক্রমণের পথে হাঁটলেন।

এদিকে এখনি লকডাউন তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, বাধানিষেধ তুলে দেওয়ার মাধ্যমে জীবনের প্রশ্নে আপস করতে শুরু করেছে সরকারগুলো। এশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের একাংশে ইতিমধ্যে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। অন্যান্য দেশগুলোও লকডাউন থেকে বেড়িয়ে আসতে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।  তবে এখনো এ নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম বলেন, এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দেশগুলো যা করছে তা হলো, জীবিকা বাঁচাতে জীবনের প্রশ্নে আপস। জাপানি বিশ্লেষকরাও বলছেন, এত দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে   ফিরে যাওয়া যাবে না।

ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগে কোনো ধরনের ক্রীড়া আসরের বিরোধিতা করেন তারা। আর্জেন্টিনা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু এখন বেশিরভাগ দেশই পুরোপুরি খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারত ও ফ্রান্সও তার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর