বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

জুনেই আমেরিকায় থাকার অধিকার হারাতে পারেন ২ লাখ বিদেশি কর্মী

দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দিয়ে অন্য দেশের নাগরিকদের চাকরি দিয়ে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়

করোনার প্রকোপে রোজগারে টান পড়েছে আগেই। এ অবস্থায়ই আমেরিকায় থাকা ও কাজ করার মেয়াদও ফুরোতে পারে দুই লাখ বিদেশি কর্মীর। জুন মাসই তাদের এইচ-ওয়ান-বি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তা পুনর্নবীকরণে মার্কিন সরকারের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিজ নিজ দেশে তাদের ফিরে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে। দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণ করতে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দিয়ে অন্য দেশের নাগরিকদের চাকরি দিয়ে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই ভিসার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে, যা ফুরিয়ে গেলে ভিসা পুনর্নবীকরণ করাতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না করালে, যার নামে ওই ভিসা তিনি সে দেশে থাকার অধিকার হারান। তল্পিতল্পা গুটিয়ে নজের দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে। শুধু তাই নয়, তারপর তিন থেকে দশ বছরের মধ্যে নতুন করে মার্কিন এইচ-ওয়ান-বি ভিসা পাবেন না তিনি।

করোনা-পরবর্তী কর্মসংকট সামাল দিতে ইতিমধ্যেই আগামী দুই মাসের জন্য মার্কিন মুলুকে অভিবাসী প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার, যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে কর্মক্ষেত্রে ভিন দেশ থেকে আসা মানুষের চেয়ে মার্কিন মুলুকে জন্মগ্রহণকারীদের প্রাধান্য দেওয়া যায়। তেমন হলে অন্য দেশ থেকে আসা নাগরিকদের ফিরে যেতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির অভিবাসী নীতি বিশেষজ্ঞ জেরেমি নিউফেল্ড। শুধু তাই নয়, গ্রিন কার্ডের আশায় যে হাজার হাজার মানুষ বসে রয়েছেন, তাদেরও খালি হাতে ফিরতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রতি বছর মার্কিন সরকার যত জনকে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা  দেয়, তার মধ্যে সিংহভাগই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত। তাই অ্যাপল, অ্যামাজন, ফেসবুক, গুগল এবং মাইক্রোসফটের হয়ে ইতিমধ্যেই মার্কিন স্টেট অ্যান্ড হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরকে চিঠি দিয়েছে টেকনেট নামের একটি লবি সংস্থা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর