শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশে দেশে চালু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি

দেশে দেশে চালু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট

করোনাভাইরাসের প্রকোপে থমকে গেছে পৃথিবী। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের এখন একটাই চিন্তা কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে? কবে আবার আগের মতো জীবনযাপনে ফিরে যাওয়া যাবে? দিনের পর দিন ঘরবন্দী থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। চাইলেই কেউ আর আগের মতো ঘর থেকে বের হতে পারছে না বা একসঙ্গে অনেক মানুষ সমবেত হতে পারছে না।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই লোকজনকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে অনেক দেশেই স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে, চলাফেরার ক্ষেত্রে আরোপিত নানা ধরনের কড়াকড়িও তুলে নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু দেশ করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পুনরায় শুরু করেছে।

করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল ফের শুরু বা এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে। যেসব এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটসূচি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের একটি হলো মালয়েশিয়ান বাজেট ক্যারিয়ার এয়ারএশিয়া। এয়ারলাইন্সটি ২৯ এপ্রিল থেকে মালয়েশিয়ায়   অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশে এয়ারএশিয়ার এফিলিয়েট ক্যারিয়ারগুলোও চলতি মাস থেকেই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করবে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে আজ ১ মে থেকে, ভারত ৪ মে,  ইন্দোনেশিয়ায় ৭ মে এবং ফিলিপাইনে ১৬ মে থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পুনরায় চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

থাইল্যান্ডে মধ্যমসারির কয়েকটি এয়ারলাইন্সও আজ পয়লা মে থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ফ্লাইট কয়েকটি স্থগিত থাকার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কানতাস এয়ারলাইন্সও দেশটির বড় কয়েকটি শহরের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে। এয়ারলাইন্সটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘মেলবোর্ন থেকে সিডনি হচ্ছে বিশ্বে দ্বিতীয় ব্যস্ততম আকাশপথ। এ রুটে স্বাভাবিক সময়ে আমরা ঘণ্টায় পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করি। এখন আমরা এ রুটে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করছি।’ 

ভিয়েতনামে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে ভিয়েতজেট, ব্যাম্বো এয়ারওয়েজ এবং জেটস্টার।  ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির দুটি বড় শহর হ্যানয় ও হো চি মিন সিটির মধ্যে তারা প্রতিদিন অন্তত ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। সামনের দিকে এ সংখ্যা বাড়বে বলে ঘোষণা দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। তবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের নির্দেশনা থাকায় প্রতি দুজন যাত্রীর মধ্যে অন্তত একটি আসন খালি রাখতে হচ্ছে। এতে কোনো ফ্লাইটই পূর্ণমাত্রায় পরিচালিত হচ্ছে না। এ ছাড়া করোনার কারণে বিদ্যমান বিধিনিষেধের মাঝে যেসব ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে সেগুলোর অনেকগুলোই সরকারি ভর্তুকির সুবিধাভুক্ত এবং পণ্য ও বিশেষ যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত। ভাইরাসের মহামারীর মাঝে ‘স্বাভাবিক’ শব্দটি অবশ্যই আপেক্ষিক। তা সত্ত্বেও এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশে আস্তে আস্তে হলেও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। সিএনএন

সর্বশেষ খবর