শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বে কমছে দূষণজনিত রোগীর সংখ্যা

তানভীর আহমেদ

বিশ্বে কমছে দূষণজনিত রোগীর সংখ্যা

করোনায় মন্দের ভালো খুঁজে পেয়েছে বিশ^। মানুষের নির্মম আচরণে, দূষণে প্রকৃতি হয়ে উঠেছিল অসহায়। যে প্রকৃতি নিঃস্বার্থভাবে শুধু দিয়েই যাচ্ছিল তা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছিল মানুষ। মানুষ বন উজাড় করেছে, নদীতে ফেলেছে প্লাস্টিক বর্জ্য, বিষাক্ত রাসায়নিক। কলকারখানা, গাড়ির কালো ধোঁয়ায় বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল আশঙ্কাজনক। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এই নিষ্ঠুরতা অনেকটাই কমেছে করোনাভাইরাসের কারণে। মানুষ ঘরবন্দী, প্রকৃতি এখন হাসছে, খেলছে। নানা ধরনের দূষণ কমে আসায় প্রকৃতি তরতাজা হয়ে উঠছে। লকডাউনে থাকায় বিশে^র তিন ভাগের দুই ভাগ অঞ্চল এখন থেমে আছে। প্রকৃতির ক্ষত সারছে। সেই ক্ষত সেরে ওঠার সুফল পেতে শুরু করেছে মানুষও। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। করোনাভাইরাস মহামারীতে লাখো মানুষ প্রাণ হারালেও বিভিন্ন দূষণে রোগ, মানুষের মৃত্যুর হার কমে আসছে। শ^সনতন্ত্রের জটিলতা ও দূষণের কারণে যেসব রোগ হয় তা থেকে রেহাই পাচ্ছে মানুষ। গত বছরের তুলনায় সারা বিশে^ই দূষণজনিত কারণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে গত চার মাসে। লকডাউনে থাকায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বাতাস পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। নেই গাড়ির ভিড়, কলকারখানার ধোঁয়া। বাতাস পরিষ্কার হয়ে ওঠায় বায়ুদূষণে এই অঞ্চলে প্রতিদিন প্রাণে বেঁচে যাচ্ছেন ১১ হাজার মানুষ। প্রতিদিন অন্তত ৬ হাজার শিশু অ্যাজমা নিয়ে ছুটে আসত সেখানে। তা কমে এসেছে। বায়ুদূষণজনিত রোগের জটিলতা নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসতেন গর্ভবতীরা, সেটিও কমে এসেছে। বিভিন্ন দূষণে হার্ট ও ফুসফুসের জটিলতায় ইউরোপে ৪ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যেতেন। এ বছর লকডাউনের কারণে এসব দূষণ কমে আসায় এ ধরনের রোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন তারাও। ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, নরওয়ের মতো দেশগুলোতে বাতাস হয়ে উঠেছে পুষ্টিকর। বাতাস পরিশুদ্ধ হওয়ায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। মানুষ অন্যান্য রোগেও সেখানে আক্রান্ত হচ্ছে কম। করোনাভাইরাসে যত মানুষ মারা গেছেন প্রাকৃতিক দূষণে তার চেয়ে বেশি মানুষ প্রতি বছর মারা যান।

সর্বশেষ খবর