রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের প্রতিবেদন

করোনাকালেও আমেরিকায় বেড়েছে ধনীদের সম্পদ

করোনাকালেও আমেরিকায়  বেড়েছে ধনীদের সম্পদ

প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারাচ্ছেন। ইউরোপ ও আমেরিকায় অর্থনীতি বড় সংকোচনের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে পূর্বাভাস দিয়েছেন। অথচ আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, করোনা সংকটের মাঝেও আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় ৩০ জনের বেশি বিলিয়নিয়রের সম্পদ বেড়েছে! ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। ‘বিলিয়নিয়রস বনানজা ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গেল সপ্তাহে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের মহামারীতে মার্কেটে আতঙ্ক সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আমেরিকার শীর্ষ ১৭০ জন বিলিয়নিয়রের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের সম্পদ কয়েক মিলিয়ন ডলার করে বেড়েছে। এমনকি এদের মধ্যে আটজনের সম্পদ এক বিলিয়ন ডলারের বেশি করে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিলিয়নিয়র বনানজা প্রতিবেদনে চলতি বছর জানুয়ারির শুরু থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে আমেরিকান বিলিয়নিয়রদের সম্পদ বিবেচনায় নেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও চলতি বছর এখন পর্যন্ত তাদের সম্পদ বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ১০ এপ্রিল এ ২৩ দিনে আমেরিকান বিলিয়নিয়রদের সম্পদ ২৮২ বিলিয়ন ডলার বা ৯.৫ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে, একই সময়ে অন্তত ২২ মিলিয়ন আমেরিকান চাকরি খুঁইয়ে সরকারি সুবিধা চেয়ে আবেদন করেছেন। আমেরিকান বিলিয়নিয়রদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজসের। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তার সম্পদ ২৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সম্পদ বৃদ্ধিতে তার ধারেকাছেও নেই কেউ। বেজসের সম্পদ বৃদ্ধিকে আধুনিক বাজারের ইতিহাসে ‘অভূতপূর্ব’ আখ্যায়িত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘করোনাকালে জেফ বেজসের মতো আর কেউ এত উপকৃত হয়নি যার সম্পদ বৃদ্ধি আধুনিক বাজারের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। জানুয়ারির ১ তারিখের পর থেকে তার সম্পদ ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে। আর ২১ ফেব্রুয়ারির পর অর্থাৎ আমেরিকায় ভাইরাসটির মহামারী শুরুর সময় থেকে তার সম্পদ বেড়েছে ১২ বিলিয়ন ডলার। করোনা পরিস্থিতির মাঝে যে আটজনের সম্পদ এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে তাদের মধ্যে আরও আছেন স্পেসএক্স ও টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক, মানবতাবাদী ও জেফ বেজসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেনজি বেজস, জুম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এরিক ইউয়ান, লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপার্সের মালিক স্টিভ বালমার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও কুপারটিনোর প্রতিষ্ঠাতা জন আলবার্ট সব্রাতো, অ্যাপোলো গ্লোবাল ম্যানেজমেন্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জশুয়া হ্যারিস এবং মিডিয়াকম কমিউনিকেশন্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রোক্কো কমিসসো। এর মধ্যে ইলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার, ম্যাকেনজি বেজসের ৮.৬ বিলিয়ন ডলার, এরিক ইউয়ানের ২.৫৮ বিলিয়ন ডলার, স্টিভ বালমারের ২.২ বিলিয়ন ডলার এবং জন আলবার্ট সব্রাতোর ২.০৭ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, সম্পদ বাড়লেও আমেরিকান বিলিয়নিয়রদের কর প্রদানের হার কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ থেকে ২০১৮, এ সময়কালে বিলিয়নিয়রদের প্রদত্ত কর ৭৯ শতাংশ কমেছে। বিজনেস ইনসাইডার

সর্বশেষ খবর