রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

টুকিটাকি

যুক্তরাষ্ট্রে রেমডেসিভি ব্যবহারের অনুমতি

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। শুক্রবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রেমডেসিভিরের প্রস্তুতকারক গিলেড সায়েন্সেস জানিয়েছে, পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ ওষুধ প্রয়োগে করোনা রোগীরা অনেক কম সময়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ইতিবাচক এ ফল মেলার কারণেই ইবোলার এ ওষুধটি এবার করোনাভাইরাসের চিকিৎসাতেও ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে। শুক্রবার গিলেড সায়েন্সেসের প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল ও’ডে-কে সঙ্গে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই আশাব্যঞ্জক ঘটনা। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ওপর এর প্রথম পর্যায়ের প্রয়োগে আমরা খুশি। আমরা নিশ্চিত করব, এ ওষুধের সুবিধা যেন যুক্তরাষ্ট্রের সবাই পান।’ করোনা রোগীদের ওপরে রেমডেসিভির প্রয়োগে সুফল পাওয়া গেছে বলে আগেই জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফওসি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও এ ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। জানা যায়, রেমডেসিভিরের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে করোনা পজিটিভ রোগীদের ওপর দুই ধরনের ডোজের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হচ্ছে।

সেখানে গত মার্চে শুরু হওয়া গবেষণায় কিছু রোগীকে পাঁচ দিন ধরে নির্দিষ্ট ডোজে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে, অন্যদের দেওয়া হয়েছে ১০ দিন। দুটিতেই ফলাফল প্রায় একই এসেছে। পাঁচ দিনের কোর্সে যারা ওষুধ গ্রহণ করেছেন তাদের মতো ১০ দিনের কোর্স করা রোগীরাও একইভাবে উপকৃত হয়েছেন। স্ট্যানফোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওষুধ গ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই সেরে ওঠার পথে। সব ঠিক থাকলে আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন। গিলেড সায়েন্সেস তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে দ্রুত কাজ করছে রেমডেসিভির। তবে গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটি কেমন কাজ করবে তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। তাদের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়া করোনা রোগীদের ৬২ শতাংশই রেমডেসিভির ওষুধ গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। মোট ৩৯৭ জন রোগীর ওপর এই ওষুধের ট্রায়াল চলছে। বিবিসি

 

ভারতে এক দিনে আক্রান্ত ২২৯৩

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ও দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে অন্তত ২২৯৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। এ নিয়ে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩৭৩৬৬ জন। দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।  দেশটিতে গতকাল পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২১৮ জন।

রোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারতজুড়ে গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। তৃতীয় ধাপে বর্ধিত লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে তা বাড়িয়ে ১৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লকডাউনের বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হবে। সিএনএন

 

করোনায় অন্তত ৫৫ সংবাদকর্মীর মৃত্যু

বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনায় গত দুই মাসে অন্তত ৫৫ সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে। গত ১ মার্চ থেকে ১ মে পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারানো সংবাদকর্মীদের এ তালিকাটি করেছে দ্য প্রেস এমব্লেম ক্যাম্পেইন বা পিইসি। এসব মৃত্যুর পেছনে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষাসামগ্রীর অভাবকে দায়ী করা হয়েছে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে।

এ ছাড়া করোনাকালে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। করোনায় প্রাণ হারানো এই ৫৫ সাংবাদিকের সবাই দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি পিইসি। তারা বলছে, ‘এ স্বাস্থ্য সংকটের সময়ে সংবাদকর্মীরা ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কেন না, হাসপাতালে গিয়ে, ডাক্তার-নার্স, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানী ও রোগীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের তথ্য জানানোর কাজ অব্যাহত রাখতে হয়েছে।’ তিন মে বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে মৃতদের এ তালিকা প্রকাশ করে দ্য প্রেস এমব্লেম ক্যাম্পেইন সতর্ক করে বলেছে, করোনাভাইরাসের এ কঠিন সময়ে সেন্সরশিপ, ইন্টারনেট বন্ধ, বিনা বিচারে সংবাদকর্মী আটক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, যা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা জানিয়েছে, মৃত্যুর শিকার ওই অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মী ছাড়াও আরও অসংখ্য সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরব নিউজ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর