সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

একগুচ্ছ প্রতিষেধক তৈরি করছে চীন

করোনাভাইরাস মহামারী

একগুচ্ছ প্রতিষেধক তৈরি করছে চীন

ভয়ঙ্কর কনোনা থেকে বাঁচতে প্রতিষেধকের কোনো বিকল্প দেখছে না বিশ্ব। তাই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশ এমনকি অক্সফোর্ডসহ বিশ্বের একাধিক নামি বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দিয়েছে এ কাজে। বিল গেটসসহ বড় ধনীরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন এর প্রতিষেধক তৈরিতে। তারই মধ্যে জানা গেছে, চীনের ফার্মে শুরু হয়েছে প্রতিষেধক তৈরির কাজ।

বেইজিংয়ের একটি ল্যাবের তরফে এ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে আশার আলো দেখছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি চীনে চারটি প্রতিষেধক পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটি প্রতিষেধক পরীক্ষা পরিচালনা করছে সিনোভাক বায়োটেক। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে,     একটি প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বাঁদরদের মধ্যে পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল দিয়েছে। শিগগিরই মানব শরীরে এর পরীক্ষা চালানো হবে।

মূলত করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলেছিল চীনেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে প্রতিষেধক তৈরি করতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। যা যে কোনো ধরনের প্রতিষেধক তৈরি করার ক্ষেত্রেই লাগে। তবে সিনোভাকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এখনো জানে না কবে বাজারের জন্য ওষুধ ছড়িয়ে দিতে পারবে। তবে তারা আশাবাদী শিগগিরই ভালো সংবাদ দিতে পারবে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সিনোভাক আগেও নিজেকে প্রমাণ করেছে। এর আগেও তারা ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিল।

বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে একাধিক ল্যাব কেবল এ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করার কাজে মগ্ন। করোনার কারণে গোটা বিশ্ব কার্যত থমকে গেছে। তবে আসা করা হচ্ছে দ্রুত প্রতিষেধক বাজারে আসবে। আর চীন সেই সুযোগটিই কাজে লাগাতে চায়। কারণ বিশ্বে এখন নিজের প্রভাব প্রমাণ করার জন্য করোনার প্রতিষেধক বড় হাতিয়ার। দেশটির নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, তারা করোনার সংক্রামণ যেভাবে ঠেকাতে পেরেছেন সেভাবেই এর প্রতিষেধক সবার আগে নিয়ে আসবেন।

সর্বশেষ খবর