সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা জয়ের কথা শোনালেন জনসন

আমাকে বাঁচাতে লিটার লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হয়েছিল

আমাকে বাঁচাতে লিটার লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হয়েছিল

যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা। প্রায় মাসখানেক ধরে করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে, নিজের সেই যুদ্ধের ভয়াবহ দিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন বরিস জনসন। রবিবার ‘দ্য সান’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বর্ণনা করেছেন, হাসপাতালে তার চিকিৎসার সব খুঁটিনাটি বিষয়। কীভাবে তার জীবন বাঁচাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা দিন-রাত কাজ করে গেছেন, সেই কৃতিত্বের কথাও গোপন করেননি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে লিটার লিটার অক্সিজেন দিতে হয়েছিল।’ সব কিছুর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলে মনে করছেন। গত ২৬ মার্চ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী করোনা রিপোর্ট পজিটিভ- এ খবর একেবারে বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। চলে যান কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বিশেষ। গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে কয়েক দিন পরই ভর্তি হন লন্ডনের সেন্ট থমাস হসপিটালে। সেখানে আইসিইউতে তাকে ভর্তি নিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। শুরু হয় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন এক লড়াই। তার পর আপাতত মৃত্যুদূতকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন চিকিৎসকরা। ‘দ্য সান’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরিস জনসন সেই কঠিন দিনগুলোর কথাই বলেছেন। বরিস বলছেন, তার থেকে যেন অন্যদের সংক্রমণ না হয়, এ কথা বারবার তিনি চিকিৎসকদের বলেছিলেন। আরও একটি ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করেছিলেন ব্রিটেনের এ নেতা। এ দুর্দিন কাটিয়ে তার দেশ যেন আবার উঠে দাঁড়ায়। তার কথায়, ‘সত্যিই একটা কঠিন সময় ছিল। আমি তা অস্বীকার করতে পারি না। কীভাবে যে আজ ফিরে এসেছি, কয়েক দিনের মধ্যে আমার শারীরিক অবস্থার এতটা অবনতি হয়ে গিয়েছিল!’ বরিস এও জানিয়েছেন, চিকিৎসা পদ্ধতি তার শরীরে কাজ না করলে, তার বিকল্পও ভেবে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নিজেই প্রায় শিউড়ে উঠেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিনের জট ব্রেক্সিট যিনি অনায়াসে কাটিয়ে ফেলতে পেরেছিলেন, সেই রাষ্ট্রপ্রধান করোনাভাইরাসের হামলার কাছে যেন নিতান্তই অসহায়। তবে সেই কঠিন সময় পেরিয়ে তিনি জীবনে ফিরে এসেছেন তো বটেই, সঙ্গে সদ্যোজাত শিশুপুত্র। এ যেন যুদ্ধজয়ের পুরস্কার। গত বুধবার বরিসের বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডস এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার নাম রাখা হয়েছে উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন। এত বড় নামের পিছনে কিন্তু ইতিহাস আছে। পরিবার সূত্রে খবর, এ শিশুর নামের মধ্যেই রয়েছেন সেই দুই চিকিৎসক, যারা প্রাণপন লড়াই করে বরিস জনসনকে ফিরিয়ে এনেছেন সুস্থতার পথে।

সর্বশেষ খবর