শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি

আফ্রিকায় মারা যেতে পারে ২ লাখ মানুষ

আফ্রিকায় মারা যেতে পারে ২ লাখ মানুষ

প্রাণঘাতী করোনার বিস্তার ঠেকানো না গেলে মহামারীর প্রথম বছরে আফ্রিকায় ২ কোটি ৯০ লাখ থেকে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে এবং তার মধ্যে ৮৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডউিএইচও।  বৃহস্পতিবার এক টেলিকনফারেন্সে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এই প্রাক্কলন তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকার প্রধান মাৎশিদিসো মোয়েতি।

তিনি বলেন, ‘মহামারীর বিস্তার ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, সেই পূর্বাভাস এখানে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য, পরিস্থিতি এখনো সেরকম নয়।’  চীন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন করোনাভাইরাসে ইতিমধ্যে প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৮ লাখ। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা এবং দারিদ্র্যের কারণে বিশেষজ্ঞরা বরাবরই আফ্রিকার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে অধিকাংশ দেশই জনসমাগম ও চলাফেরায় বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কোথাও কোথাও নেওয়া হয়েছে কারফিউ জারির মতো কঠোর ব্যবস্থা। তবে চলতি সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া শুরু হয়েছে। রয়টার্স লিখেছে, আফ্রিকায় ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার পরে। সেখানে সংক্রমণের হার এখন পর্যন্ত অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কম। কিন্তু সেখানেও সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সমীক্ষা করা হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের ৪৭টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে। এসব দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি। রয়টার্স লিখেছে, এসব দেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৩১ জনের।  মাৎশিদিসো মোয়েতি এক বিবৃতিতে বলেন, “এ অঞ্চলের সরকারগুলো উদ্যোগী না হলে কোভিড-১৯ আগামী কয়েক বছরের জন্য আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে, সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।” আফ্রিকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের দুর্বলতার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে রয়টার্স লিখেছে, এই মহাদেশে প্রতি এক লাখ লোকের জন্য একটি আইসিইউ শয্যা এবং একটি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা আছে।

সর্বশেষ খবর