শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

চরম মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বিশ্ব : জাতিসংঘ

চরম মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বিশ্ব : জাতিসংঘ

করোনাভাইরাসের মহামারী বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। মহামারীর কারণে সৃষ্ট মানসিক দুর্ভোগ সামাল দিতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এক পলিসি ব্রিফিং উদ্বোধনের সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা খাতকে অবহেলা করা হয়েছে আর বিনিয়োগ করা হয়েছে কম। ফলে কভিড-১৯ মহামারী পরিবার এবং সম্প্রদায়ের ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করছে। খবর এএফপি। জাতিসংঘের পলিসি ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, মহামারীর শুরুর দিকে মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষাই মূল উদ্বেগ ছিল। তবে বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার বড় একটি অংশের ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করছে এ মহামারী। ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘মহামারী নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পরেও দুঃখ, উদ্বেগ আর হতাশা মানুষ ও জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত করতে থাকবে।’ নিজের বা প্রিয়জনের করোনা সংক্রমণ কিংবা এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে সৃষ্ট মানসিক চাপকে গুরুত্ব দেওয়া হয় জাতিসংঘের ওই ব্রিফিংয়ে। এ ছাড়া, মহামারীর কারণে জীবিকা হারিয়ে ফেলা কিংবা হারানোর ঝুঁকিতে থাকা, প্রিয়জনদের কাছ থেকে দূরে থাকা কিংবা কঠোর লকডাউন পরিস্থিতি মেনে চলার কারণে বহু মানুষের ওপর তৈরি হওয়া মানসিক চাপের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয় এতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডেভোরা কেস্টেল ওই ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা জানি বর্তমান পরিস্থিতি, ভয়, অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক বিপর্যয়- এর সব কিছুই মানসিক অশান্তির কারণ কিংবা কারণ হয়ে উঠতে পারে।’ মেডিকেল কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির খবরের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং ফার্স্ট রেসপন্ডাররা মারাত্মক চাপের মধ্যে কাজ করছেন। এ মহামারীতে তাদেরই সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেন তিনি।

ওই ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই মহামারীর কারণে নানা ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের  কথা উল্লেখ করেন।

এদিকে, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমিয়া সোমিনাথান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, আমি চার থেকে পাঁচ বছরের একটি সময়সীমার কথা বলতে চাই। এ সময়ের মধ্যে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ভ্যাকসিন। তবে এর কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর