শনিবার, ১৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

জুনে ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিতে পারে অক্সফোর্ড

জুনে ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিতে পারে অক্সফোর্ড

করোনাকে রুখতে একটাই অস্ত্র আর তা হলো ভ্যাকসিন। গোটা বিশ্বে চলছে এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা। আশা-নিরাশার মাঝে হঠাৎ করেই কিছু খুশির সংবাদ আসছে। এর মধ্যে চমৎকার আশার বাণী শোনাল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। তারা বলছে, করোনা থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আর সেই ফলাফল খুব তাড়াতাড়ি হাতে আসবে। আর সেটা আগামী মাসেই অর্থাৎ জুন মাসে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক স্যার জন বেল জানিয়েছেন, কয়েকশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এটি অনুমোদন পেলেই প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন তৈরি করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। গত মাসের শেষের দিকে মানুষের ওপর প্রথম প্রতিষেধকের পরীক্ষা শুরু করে ইউরোপ। অক্সফোর্ডেই প্রথম এই পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষা চালানোর জন্য ৮০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়। এই ৮০০ জনের মধ্যে অর্ধেককে দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ও বাকিদের দেওয়া  হবে কন্ট্রোল ভ্যাকসিন যা তাদের মেনিনজাইটিস থেকে রক্ষা করবে, করোনাভাইরাস  থেকে নয়। এই পরীক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ী কাকে কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা তারা জানতে পারবেন না, জানবেন শুধুমাত্র চিকিৎসকেরা। প্রথম যে দুজনের শরীরে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তাদের মধ্যে একজন হলেন এলিসা গ্রানাতু। তিনি নিজেও পেশায় একজন বিজ্ঞানী, তাই বিজ্ঞানকে সমর্থন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন তিনি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সারা গিলবার্টের তত্ত্বাবধানে একটি দল গত তিন মাসে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। আর এই ভ্যাকসিন নিয়ে তারা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন সারা। যদিও তিনি জানিয়েছেন যে পরীক্ষা করে তবেই তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এরপরই বলা যাবে যে ওই ভ্যাকসিন মানুষের ওপর কতটা কাজ করছে।

তবে ভ্যাকসিন যে কাজ করবে সে ব্যাপারে ৮০ শতাংশ নিশ্চিত এই অধ্যাপক। একটি সাধারণ জ্বরের ভাইরাস থেকে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে, যা শিম্পাঞ্জির শরীর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এবার সেটিকে মডিফাই করা হয়েছে যাতে ওই ভাইরাস নতুন করে মানুষের শরীরের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এর আগে অক্সফোর্ডের টিম মার্সের     ভ্যাকসিন  তৈরি করেছিল, সেটাও এক ধরনের করোনাভাইরাস। তাই এবারের ফলাফল নিয়েও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না তারা।

সর্বশেষ খবর