সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে দিব্যি সুস্থ ইঁদুর-বাঁদর

এবার পালা মানুষের

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে দিব্যি সুস্থ ইঁদুর-বাঁদর

একদিকে জীবন বাঁচানোর তাগিদ, অন্যদিকে ব্যবসার প্রভাব। আর তা হলো ভ্যাকসিন। করোনা মহামারী থেকে বাঁচার ভ্যাকসিন। অনেকে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে ঘোষণা দিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছে প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি  ক্ষেত্রে তারা তাদের পরীক্ষা শুরু করেছে। অনুমান করা হচ্ছে এই পরীক্ষা সফল হলেই বাজারে দ্রুত আসবে প্রতিষেধক। একটি সূত্র তো বলেই দিয়েছে আগামী মাসে পাওয়া যাবে প্রতিষেধক। আর সেই কারণে বাঁদরের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জানা গেছে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিষেধক দেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে প্রাণীদের শরীরে ইমিউনিটির লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তবে কেবলমাত্র মানব শরীরে প্রয়োগ করার পরই বোঝা যাবে আসলে এটা আমাদের কাজে লাগবে কিনা। এমনটা জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। আর তার ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে তারা সতর্ক করেছেন প্রাণী শরীরে যে ফলাফল পাওয়া গিয়েছে তা মানব শরীরে পাওয়া নাও যেতে পারে। ইঁদুর এবং বাঁদরের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করানোর পর একটিমাত্র ভ্যাকসিন কাজ করেছে এই ভাইরাস রোধের ক্ষেত্রে। কিন্তু তা মানব শরীরে কতটা করবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন একাধিক গবেষক। পাশাপাশি বেশ কিছু প্রাণীর শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধের এন্টিবডি দুই সপ্তাহের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এ ছাড়াও কয়েকটি প্রাণীর শরীরে কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া গেছে ভাইরাস রোধের এন্টিবডি। আর তাই মানব শরীরে পরীক্ষা নিয়ে তারা যথেষ্ট আগ্রহী। মানব শরীরে এই পরীক্ষা সুফল   হলেই তবে বাজারে আনা সম্ভব হবে প্রতিষেধক। আর সেই কারণে এই চেষ্টা করে চলেছেন তারা। গবেষকরা এও দেখেন প্রাণীদের শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করানোর পরে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল তা প্রতিষেধক ব্যবহারের ফলে দ্রুত কমে গেছে। আর তাই মানব শরীরে পরীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহী এই গবেষকরা।

সর্বশেষ খবর