বুধবার, ২০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

আফগানিস্তানে ক্ষমতা ভাগাভাগি স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তানে ক্ষমতা ভাগাভাগি স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, আশরাফ গনি

অবশেষে আফগানিস্তানে ক্ষমতা ভাগাভাগি হলো। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও বিরোধী নেতা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি করেছেন। এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি, আফগানিস্তানের সহিংস অবস্থা নিরসনে এ রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে সাউথ এশিয়ান মনিটর।

এতে বলা হয়, রবিবার স্বাক্ষরিত এ চুক্তি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আফগান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, আবদুল্লাহ ও গনি পাশাপাশি বসে আছেন চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে। এ সময় আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও উপস্থিত ছিলেন। এক বিবৃতিতে পম্পেওর মুখপাত্র মর্গান ওর্তাগাস বলেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও দুই নেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আশরাফ দিনটিকে আফগানিস্তানের জন্য ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং কোনো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ছাড়াই এ সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব ভাগ করে নেব এবং আল্লাহর ইচ্ছায় সমস্যা কমে আসবে। আগামী দিনে আমরা ঐক্য ও সহযোগিতার প্রত্যাশা করি। অস্ত্রবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য পটভূমি তৈরি করতে হবে। আবদুল্লাহ জানান, এ চুক্তি আরও বেশি অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতামূলক ও কর্মদক্ষ প্রশাসন গড়ে উঠবে। এতে শান্তির পথ, সুশাসনের উন্নতি, অধিকার রক্ষা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা বাড়বে। আবদুল্লাহর মুখপাত্র ফ্রাইদুন খাওজুন জানিয়েছেন, এ চুক্তির ফলে মন্ত্রিসভা ও  প্রাদেশিক গভর্নরের পদে তারা ৫০ শতাংশ লোক দিতে পারবেন। এর আগে, একটি চুক্তির বলে আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবদুল্লাহ। কিন্তু গত নির্বাচনে গনির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পরাজিত হলে ওই পদ হারান তিনি। তবে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন এবং ৯ মার্চ শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন। একই দিন গনি নিজেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

এদিকে আশরাফ গনি এবং আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর    মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা দেশটির রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান এবং চীন আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

সর্বশেষ খবর