শনিবার, ৩০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
হংকং পরিস্থিতি

চীনের নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা

চীনের নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা

হংকং-এর ওপর চীনের নতুন নিরাপত্তা আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। আইনটি পাসের পর বৃহস্পতিবার চার দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে এর কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো বলেছে, করোনা মহামারীর মধ্যে এমন পদক্ষেপ নিয়ে বেইজিং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ক্ষুণœ করছে। একই সঙ্গে তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যাহত করার ঝুঁকি নিচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রদেশগুলো এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিং সরাসরি আইনটি চাপিয়ে দিলে হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতা সীমিত হয়ে পড়বে, স্বায়ত্তশাসন থাকবে না, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতিও ক্ষুণœ হবে। বারবার বিক্ষোভ-সংঘর্ষ উত্তাল হয়ে ওঠা হংকংয়ে নতুন এ আইন বিভেদও বাড়াতে পারে বলে বিবৃতিতে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে দেশগুলো। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হংকংয়ের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ অধিকার এবং স্বাধীনতা ভোগ করতে দিয়ে সমাজে আবার আস্থা ফিরিয়ে আনাই সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের একমাত্র পথ। চীনকে হংকং সরকার এবং জনগণের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো।

হংকং নিরাপত্তা আইনের প্রতিক্রিয়ায় জাপান বলেছে, হংকং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। ফলে সেখানে গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা বজায় থাকা জরুরি। এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। এ সমালোচনাকে নির্লজ্জ আখ্যায়িত করে দেশটির দাবি, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ আন্দোলন, ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় আইনটি পাস করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার ২৮৭৮-১ ভোটে বিতর্কিত এই বিলটির অনুমোদন দেয় চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস। ভোটাভুটির ফল বড় পর্দায় ভেসে ওঠার পর গ্রেট হল অব দ্য পিপলসে সমবেত আইনপ্রণেতারা উল্লাস করতে থাকেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রণীত এই আইনে ‘দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর