বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পঙ্গপালের দুঃসময়!

বিভিন্ন দেশে হামলে পড়া পঙ্গপালের দল বেশ দুঃসময়ে পড়েছে। চীনে হামলে পড়া মাত্রই সেখানকার মানুষ এগুলো পাকড়াও করে ভাজি করে খেয়ে ফেলছেন। আর পাকিস্তানের কৃষিজীবীরা এই পঙ্গপাল পাকড়াও করে একেকজন প্রতিদিন আয় করছেন হাজার রুপিয়া। সূত্র : অনলাইন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হয়েছে পঙ্গপালের তান্ডব। এই তান্ডবে হুমকিতে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের খাদ্য নিরাপত্তা। যা গেল তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। এ সংকটের মাঝেও নতুন এক সমাধানের খোঁজ পেয়েছে পাকিস্তান। দেশটির ওকারা জেলার কর্মকর্তারা পঙ্গপালের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এই পোকা দিয়ে হাঁস-মুরগির উচ্চ-প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার (ফিড) বানানোর প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। এই প্রজেক্টের নাম দেয়া হয়েছে ‘পাইলট প্রজেক্ট’। যেখানে পঙ্গপাল কেজি প্রতি ২০ রুপি দরে বিক্রি করে আয় করছেন দেশটির কৃষকেরা।

জানা গেছে, ওকারা জেলায় উদ্ভাবনী এ প্রকল্প এনেছেন পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ খুরশিদ ও পাকিস্তান কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের জৈবপ্রযুক্তিবিদ জোহর আলী। তারা দুজন মিলে পাকিস্তানের জনসংখ্যাবহুল প্রত্যন্ত গ্রাম ওকারা জেলাতে তিনদিনের পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি ছিল দেপালপুরে পেপলি পাহার বনে। সেখানে ফেব্রুয়ারি থেকেই বিপুল সংখ্যক পরিপক্ব পঙ্গপাল আসতে থাকে। আর ওই বন নির্বাচন করার কারণ হলো ওখানে পঙ্গপালের ওপর কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। এরপর তারা একটি স্লোগান ছড়িয়ে দেন, ‘পঙ্গপাল ধর, আয় কর এবং ফসল বাঁচাও’।

জৈবপ্রযুক্তিবিদ জোহর আলী বলেন, ‘পঙ্গপাল ধরা অনেক সহজ। আমরা কৃষকদের সেই বুদ্ধি দিলাম। তাতেই কাজ হলো। তারা প্রথম রাতেই ৭ টন পঙ্গপাল ধরেছে। আমরা সেগুলো পার্শ্ববর্তী মুরগির খাবার তৈরির কারখানায় বিক্রি করেছি। ওই রাতে কাজ করে কোনো কোনো কৃষক ২০ হাজার রুপিও আয় করেন।’

মুরগির খাবার তৈরির প্রতিষ্ঠান হাই-টেক ফিডসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতাহার বলেন, ‘আমরা যে সয়াবিন আমদানি করে প্রাণীর খাবার তৈরি করি, তাতে প্রোটিন ৪৫ শতাংশ, আর পঙ্গপালে আছে ৭০ শতাংশ। পঙ্গপালে আমাদের খরচও পড়ে অনেক কম।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর