সোমবার, ৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
মানহীন এন-৯৫ মাস্ক

এবার চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করল যুক্তরাষ্ট্র

বর্ণবাদী আন্দোলন উসকে দিচ্ছে চীন : পম্পেও

এবার চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করল যুক্তরাষ্ট্র

চীনা পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। একাধিক দেশ চীনের জিনিস ফিরিয়ে দিয়েছে। খারাপ মান হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওইসব জিনিসের বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি মামলা হলো চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে। খারাপ মানের এন৯৫ মাস্ক বিক্রির জন্য একটি চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করল মার্কিন বিচার বিভাগ।

অভিযোগ, মার্কিন ক্রেতাদের কাছে তারা অত্যন্ত খারাপ মানের ১৫ লাখ মাস্ক বিক্রি করা হয়েছে। এপ্রিলে কেনা এসব মাস্ক বিলি হওয়ার কথা ছিল মার্কিন স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে। সেই সময় আমেরিকায় হু হু করে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের আদালতে মামলা করা হয়, চীনের গুয়াংডংয়ের কিং ইয়ার প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং নামে একটি সংস্থা খারাপ মানের এন৯৫ মাস্ক বিক্রি করেছে। অভিযোগ করা হয়, ওই মাস্কগুলি এন৯৫ স্ট্যান্ডার্ডের বলে চীনা সংস্থাটি যে দাবি করে তা মিথ্যে। ঠিকভাবে পরীক্ষা না করে এই মাস্ক পরতে হলে আরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হতেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

খারাপ মানের মাস্ক সরবরাহ, মিথ্যে দাবিসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে চীনা সংস্থাটির বিরুদ্ধে। ফিনল্যান্ডে ২০ লাখ মাস্ক পাঠিয়েছিল চীন। কিন্তু সেই মাস্কগুলি ভালো মানের নয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীগুলিও তেমন কার্যকরী নয় বলে জানিয়েছে ফিনল্যান্ড। অন্যান্য দেশগুলিও জানিয়েছে তারা চাহিদামতো চিকিৎসা সামগ্রী পায়নি। কানাডা, নেদারল্যান্ডস, স্পেনসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ চীন থেকে আসা এই সামগ্রীগুলির মান ভালো নয় বলে জানাচ্ছে। ইকোনমিক টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। এপ্রিলের শুরুতেই নেদারল্যান্ডসের সরকার অভিযোগ করে, চীন থেকে ১০ লাখ মাস্ক এসেছে। কিন্তু তার মধ্যে ছয় লাখ মাস্ক গুণগত দিক থেকে খুবই খারাপ। এমনকি সেই মাস্কগুলি নন-সার্জিক্যাল বলে জানিয়েছে। চীনের এক সংস্থা থেকে আসা অনেক টেস্ট কিট ফিরিয়ে দিয়েছে স্পেন কারণ সেগুলি ও গুণগত মানের দিক থেকে ভালো ছিল না।

এদিকে, কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে সৃষ্ট আন্দোলনে চীন উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে বিক্ষোভের খবর প্রচার করে চীন বিষয়টির অপব্যবহার করছে। শনিবার রাতে পম্পেও এক বক্তব্যে দাবি করেন, হংকং ও তিয়েনআনমেন স্কয়ারের বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমন করেছে চীন। সেই খবর প্রচারকারী সাংবাদিকদের দীর্ঘমেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। পম্পেও আরও দাবি করেন, আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা জনগণের মালামাল লুট  করলেও তা প্রচার না করে শুধু বিক্ষোভের খবরই প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া পম্পেও বলেন, চীনের যেসব সাংবাদিক ও ডাক্তার করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তাদেরকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে কিংবা অপহরণ করা হয়েছে। চীন করোনায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন রাখছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর