সাধারণ অবস্থায় আর্থিক প্রতারণা খুবই সাধারণ ব্যাপার। আর এই করোনাকালে মানুষ যখন আর্থিক সংকটে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আর্থিক প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে এবং তাদের শিকার হতে পারেন নিরীহ সৎ মানুষ, এমন বিবেচনা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ বাহিনী ইউরোপোল একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছে। খবর ডয়চে ভেলে, রয়টার্সের করোনার কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে মনে করে আঞ্চলিক জোটটি। শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি তদন্তকারী ইউনিট তৈরি করেছে। আর্থিক দুর্নীতি ঠেকাতে করোনার অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে অনেকে অর্থ পাচার ও প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন বলে তাদের ধারণা। ইউরোপের অর্থনৈতিক অপরাধ কেন্দ্র বা ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকনোমিক ক্রাইম সেন্টার জোটের পুলিশ বাহিনী ইউরোপোলের সঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে ইউরোপোলের প্রধান ক্যাথরিন দ্য বোলে বলেন, কভিড-১৯ আমাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং এতে করে অপরাধ প্রবণতা তৈরির আশঙ্কা জেগেছে।
টুইটারে এ প্রসঙ্গে ইউরোপোলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গন্তব্যে অর্থ পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের লেনদেনগুলো খতিয়ে দেখতে হবে এবং অপরাধীদের কাছ থেকে একে দূরে রাখতে হবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নির্মাণ খাত, হোটেল, ভ্রমণ ও পর্যটন খাতে অপরাধের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসা সরঞ্জামেও সমস্যা হবার ঝুঁকির কথা বলছেন তারা। বিশেষ ইউনিটটিতে ২৭টি ইইউ সদস্য দেশ থেকে ৬৫ জন বিশ্লেষক থাকবেন। তারা নিজ নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
