মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর বিশাল সমাবেশ

চীন-ভারত উত্তেজনা

সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর বিশাল সমাবেশ

দুই প্রতিবেশী দেশ চীন ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। মূলত সীমান্ত বিরোধ নিয়ে তাদের মাঝে এ উত্তেজনা। চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারত সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর ফের বিশাল সমাবেশ, কী বার্তা চীনের সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের বিরোধের বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বীকার করেন, চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) বিপুল সংখ্যক সদস্য চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) পেরিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে চীনের সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস এবং সরকারি সিসিটিভি চ্যানেল রবিবার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিবাদের মাঝেই প্রায় কয়েক হাজার প্যারাট্রুপার-সহ সীমান্তে বিশাল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে চীন। প্রয়োজনে সীমান্ত অঞ্চলে দ্রুত ভারী সামরিক যান ও বাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা পরীক্ষা করে নিতেই পিএলএলের এই তোড়জোড় বলছে চীনা সংবাদমাধ্যম দুটি।

চীনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে গতকাল এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। তবে চীনা সংবাদমাধ্যমে যখন এই খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেই সময় নয়া দিল্লি জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে সপ্তাহব্যাপী সীমান্ত সংকট দূর করতে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা বহাল থাকবে। শনিবারই লাদাখে চীন সীমান্ত-সংলগ্ন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে মলডোতে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসে ভারত ও চীনের সামরিক প্রতিনিধিদল। তবে তার ফলাফল কী দাঁড়িয়েছে, তা জানায়নি দুই পক্ষই। তবে সীমান্তের কোন অংশে ওই বিশাল সেনা সমাগম ঘটানো হয়েছিল, তা অবশ্য ফাঁস করেনি চীনা সংবাদমাধ্যম। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতকে কড় বার্তা দিতেই এ বিশাল কুচকাওয়াজের ব্যবস্থা করা হয়।

চীনা সংবাদমাধ্যম বলছে, ওইদিনের সামরিক মহড়ায় বেসামরিক বিমান সংস্থা, বাণিজ্যিক পরিবহন ব্যবস্থা ও রেলের সাহায্যে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে পিএলএ বিমানবাহিনীর কয়েক হাজার প্যারাট্রুুপারকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে দেশের উত্তর-পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের কোনো অজ্ঞাত গন্তব্যে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গেই পাঠানো হয়েছে ট্যাঙ্ক, ভারী সশস্ত্র সামরিক যান এবং বিপুল পরিমাণে সামরিক রেশন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই বিশাল বাহিনী ও সরঞ্জাম গন্তব্যে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে সিসিটিভি চ্যানেল। এর আগে ১৪ মে লাদাখে একই রকম সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছিল বেইজিং। তখন থেকে সীমান্ত নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ফের প্রকাশ্যে আসে। গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে গ্লোবাল টাইমস জানায়, সীমান্ত অতিক্রম করে রাতের অন্ধকারে শত্রুশিবিরে অতর্কিতে হানা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৪৭০০ মিটার উচ্চতায় বাহিনী পাঠিয়েছে পিএলএলের তিব্বত সামরিক ঘাঁটি। সবমিলিয়ে ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ ঘিরে রীতিমতো যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির ব্যবস্থা করে ফেলেছে বেইজিং।

সর্বশেষ খবর