মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কিম পরিবারের বিতর্কিত শাসন ব্যবস্থা

কিম পরিবারের শাসনকালে নানা বিতর্কের সাক্ষী হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা। স্বৈরাচারী শাসকের সিদ্ধান্তের সমালোচনা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। তবু বহু বিতর্কের স্রষ্টা কিম জং উন বা তার পরিবার পিছু হটেনি।  স্বৈরাচারী নির্দেশের সেই কিম ইল সাং-এর (কিম জং উনের দাদা) থেকে শুরু। তার ছেলে কিম জং ইল-এর পর একই অদ্ভুত শাসনধারা বজায় রেখেছেন কিম জং উনও। এমনই এক বিতর্কিত নির্দেশ হল, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য স্বচ্ছতার নিদান। যা অমান্য করলে হাজতবাস পর্যন্ত হয়েছে। দেশের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং-এর বড় ছবি বাড়ির বসার ঘরে বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে হবে, সেই ছবি এবং তার আশপাশের এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল-এর শাসনেই এই নিয়ম জারি হয়েছিল উত্তর  কোরিয়ায়।

বর্তমান কোরিয়ায় কিমের সময়ও রাজধানী পিয়ংইয়ং ও অন্য এলাকায় নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘স্বচ্ছতা পরিদর্শন’ করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই জরিমানা এমন কী হাজতবাস হতে পারে নাগরিকদের। মাই  ফেভারিট ডিকটেটরস বইতে কোরিয়ার কিমদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য দিয়েছেন লেখক ক্রিস মাইকুল। বইতে কিম জং উনের পাশাপাশি তার বাবা ও দাদার স্বৈরাচারিতারও পরিচয় দিয়েছেন লেখক।

এতে উল্লেখ করেন, কীভাবে বনিবনা না হওয়ায় ৩০০ জন সরকারি আধিকারিককে হত্যা করিয়েছেন কিম জং উন। ওই আধিকারিকরা তাকে দেশের শাসনের জন্য ‘অপরিণত’ মনে করেছিলেন বলে অভিযোগ। স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত প্রণয়ন ও রূপায়ণে উত্তর কোরিয়ায় রয়েছে বিশেষ মন্ত্রণালয়ও। সূত্র: এই সময়।

সর্বশেষ খবর