বুধবার, ১০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

অত্যাচারের প্রতীক : সরাতে হবে ক্লাইভের মূর্তি

অত্যাচারের প্রতীক : সরাতে হবে ক্লাইভের মূর্তি

পলাশীর যুদ্ধে ও রবার্ট ক্লাইভের হাত ধরেই ভারতে উপনিবেশ শুরু হয়েছিল ব্রিটেনের। কালক্রমে তা ব্রিটিশ রাজ্যে পরিণত হয়। আড়াই শতকেরও বেশি সময় পর এখন খোদ ব্রিটিশরাই বলছেন, ‘রবার্ট ক্লাইভ অত্যাচারের প্রতীক।’ ঐতিহাসিক মানুষ বলেই ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যান না। তাঁর মূর্তি সরাতে হবে। কারণ ওই মূর্তি উপনিবেশবাদের প্রতীক। এ নিয়ে শত শত মানুষ অনলাইনে আবেদনও করেছেন। পশ্চিম ইংল্যান্ডের শ্রেসবেরিতে একটি মূর্তি রয়েছে ক্লাইভের। এটির নাম ক্লাইভ অব ইন্ডিয়া। সেই মূর্তি সরানোর জন্য চেন্স ডট অর্গ নামে একটি সাইটে শ্রেসবেরির কান্ট্রি কাউন্সিলে দাবি তুলেছেন শত শত মানুষ। সম্প্রতি সেখান দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কলস্টনেরও মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এবার দাবি উঠেছে ক্লাইভের মূর্তি সরাতে হবে। পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ২৫০০ মানুষ। কান্ট্রি কাউন্সিলের কাছে পাঠানো পিটিশনে লেখা হয়েছে, ক্লাইভের মূর্তি ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের প্রতীক। ভারতীয়, বাঙালি ও দক্ষিণ-পূর্ব এসিয়ার মানুষদের জন্য অত্যাচারের প্রতীক। তার নেতৃত্বে লাখ লাখ মানুষ খুন হয়েছে ভারতে। ব্রিটেনের সরকার কি  সেই ‘গর্ব’ এখনো বয়ে নিয়ে যেতে চায়! বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রথম গভর্নর ক্লাইভ হয়েছিলেন। ক্লাইভ অব ইন্ডিয়া উপাধিও পেয়েছিলেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, ক্লাইভের ইতিহাস খুনের ইতিহাস। লুটের ইতিহাস। তার আদেশে একটা জাতিকে প্রায় শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু ঐতিহাসিক চরিত্র বলেই তিনি ভালো হয়ে যান না। তাকে অত্যাচারী ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। কয়েক শো বছর ধরে শ্রেসবেরিতে তা উদযাপন করা হচ্ছে। এজিনিস শেষ হওয়া উচিত। এদিকে, ওই আবেদন নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছেন এলাকার সাংসদ ড্যানিয়েল কওজেনেস্কি। বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর