শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সেপ্টেম্বরে মিলতে পারে করোনার ফলপ্রদ অ্যান্টিবডি

যুক্তরাষ্ট্রে একটি ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু

সেপ্টেম্বরে মিলতে পারে করোনার ফলপ্রদ অ্যান্টিবডি

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ কভিড-১৯ বা নতুন করোনাভাইরাস চিকিৎসায় দুটি অ্যান্টিবডি থেরাপির অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এলি লিলি এ দুটি অ্যান্টিবডি থেরাপি তৈরি করেছে। পরীক্ষামূলকভাবে তা ইতিমধ্যে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল স্কোভ্রনস্কি।

করোনার চিকিৎসায় উপযোগী কিনা তা জানতে আরও একটি অ্যান্টিবডি থেরাপির প্রিক্লিনিক্যাল গবেষণা শুরু করেছে এলি লিলি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেটিও মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। এলি লিলি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে দুটি অ্যান্টিবডি থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে তা ইতিমধ্যে ক্যান্সার, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসসহ কয়েকটি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই অ্যান্টিবডি থেরাপিকে এলি লিলির বিজ্ঞানীরা নতুন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহার উপযোগী করে  তৈরি করেছেন। ড্যানিয়েল বলেন, ‘যাদের ওপর অ্যান্টিবডি থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের যদি আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে হাসপাতালে না ভর্তি হওয়া লাগে, তাহলে তা আমাদের জন্য একটি ইতিবাচক নির্দেশনা। সে অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জরুরি ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে।’ চলতি মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্তদের ওপর অ্যান্টিবডি থেরাপি দুটির পৃথক পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে এলি লিলি। এলওয়াই কভ৫৫৫ নামের অ্যান্টিবডি থেরাপিটি এলি লিলি তৈরি করেছে কানাডার বায়োটেক কোম্পানি আবসেলেরার সঙ্গে। জেএস০১৬ নামে আরেকটি অ্যান্টিবডি থেরাপি এলি লিলি তৈরি করেছে চীনের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি সাংহাই জুনশি বায়োসায়েন্সেসের সঙ্গে। বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথক দুটি অ্যান্টিবডি থেরাপির ইনজেকশনেই করোনাভাইরাসের প্রোটিন স্পাইক ধ্বংস হবে। ভাইরাসের প্রোটিন স্পাইক মানুষের কোষে প্রবেশ করে এবং প্রতিলিপি তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করে।

করোনা সংক্রমিত রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি থেরাপি জীবন রক্ষাকারী হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। টিকা দেওয়ার উদ্দেশ্য আর অ্যান্টিবডি থেরাপির উদ্দেশ্য একই। এ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। যা ভাইরাস নির্মূলে মূল ভূমিকা রাখে।

এদিকে, করোনা রোগীদের সারিয়ে তুলতে এবং ভাইরাসটি ঠেকাতে যথেষ্ট সম্ভাবনাধারী একটি ওষুধের (অ্যান্টিবডি ককটেল) ক্লিনিকাল ট্রায়াল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে। দেশটিতে এ ধরনের ওষুধের এটাই প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বলে নির্মাতা রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালস ইনকোর্পারেশন জানিয়েছে। প্রয়োগ সফল হলে ওষুধটি আগামী শরতের আগেই ব্যাপকহারে ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সর্বশেষ খবর