বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ট্রাম্পকেই ফের ক্ষমতায় চায় চীন

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন

ট্রাম্পকেই ফের ক্ষমতায় চায় চীন

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী জো বাইডেনকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করছে চীন, এরকম অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশ কয়েকবার তার মুখে এমন অভিযোগ শোনা গেছে। তবে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ৯ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীন বাইডেনকে নয়, ট্রাম্পকে ফের ক্ষমতায় দেখতে চায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ খবর দিয়েছে।

বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনাভাইরাসের বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যখন চীনকে বারবার দোষারোপ করে আসছেন তখন চীনের তরফ থেকে ট্রাম্পকে ফের ক্ষমতাসীন দেখার ব্যাপারে চীনের এ ধরনের আপাতত উদ্ভট চাওয়া কেন? চীনা কর্তাদের একজন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিশ্বের বিভিন্ন মিত্রের থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে এটা চীনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বাণিজ্যযুদ্ধ কিংবা ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প আসার পরেই যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব থেকে নিজেদের অনেকটা সরিয়ে নেয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীন আর রাশিয়া। বাণিজ্যযুদ্ধে কিছুটা ক্ষতি হলেও চীনের লক্ষ্য আগামীতে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাদের বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধি করে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ মোকাবিলা করা। তাছাড়া এশিয়া-ইউরোপে নিজেদের মিত্রতা বৃদ্ধি করে বিশ্ব শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেখছে চীন। সেটা ট্রাম্প আসলে চীনের জন্য অনেকটা সহায়ক হবে বলে ধারণা চীনা সরকারের। আর সে জন্যই চির শত্রুকে আরও চার বছর সহ্য করতে রাজি বেইজিং।

হোয়াইট হাউসে কে আসবে সেটার ওপর দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক ও উত্তেজনা অনেকটা নির্ভর করবে। ট্রাম্প আসলে বাণিজ্য যুদ্ধসহ অনেকভাবে সম্পর্ক খারাপ হলেও ভূরাজনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান হবে চীন। বাইডেন আসলে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অন্য দেশের সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে। তাই বাণিজ্য যুদ্ধকে নিজেদের বৈশ্বিক রাজনৈতিক স্বার্থে মেনে নিতে প্রস্তুত চীন। করোনাভাইরাসের এ সময়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর একটা সুযোগ পেয়েছে তারা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ বেশ কয়েকটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে চীন। অন্যদিকে জলবায়ুসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে ইউরোপের সঙ্গে বৈরিতায় জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করছে আফগান, ইরাক ও জার্মানি থেকে। বিশ্ব থেকে সরে এসে নিজ দেশ নিয়ে কাজ করতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর এটাই বড় সুযোগ চীনের সামনে, মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ খবর