ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। কিছুটা পিছু হটলেও এখনো পুরোপুরি সরেনি চীনের সৈন্যরা। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলওএসি) এপারে দাঁড়িয়ে আছে তারা। সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর শুক্রবার রাতে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি মূলত ৮টি বার্তা দেন।
১. ভারতীয় ভূখন্ডে চীনাসেনা ঢুকতেই পারেনি। কোনো সেনা চৌকিও দখল হয়নি। ২. কোনো বাহ্যিক চাপের কাছে ভারত নতিস্বীকার করবে না।৩. ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়েছেন। কিন্তু সেনারা যে স্পর্ধা দেখিয়েছেন তাতে চীনকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ৪. সীমান্ত রক্ষা করতে যা যা করার দরকার তাই করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৫. প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা ভারত সরকার দিয়েছে। ৬. ভারত শান্তি এবং বন্ধুত্বের পক্ষে কিন্তু দেশকে অখ-তা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনো আপোস করা হবে না তবে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চলছে। ৭. সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে এবং আমরা গত ৫ বছরে সীমান্তের অবকাঠামোকে উন্নত ও উন্নত করার চেষ্টা করেছি। ৮.উন্নত অবকাঠামোর ফলে আমাদের বাহিনী কর্তৃক উচ্চতর টহল ও চীনের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। এদিকে, সর্বদলীয় বৈঠকে মোদির ‘ভারতীয় ভূখন্ডে চীনাসেনা ঢুকতেই পারেনি। কোনো সেনা চৌকিও দখল হয়নি’ বিষয়টি সর্ব মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি যদি তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন তাহলে জাতীয় স্বার্থ আরও উন্নত হবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।