করোনা শিক্ষা দিয়েছে বিশ্বকে। মহামারী রুখতে যে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হয়েছে, সেই একই তৎপরতায় কাজ করতে হবে জলবায়ু পরিবর্তন আটকাতেও। এমনই মনে করছে কিশোরী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুইডিশ কিশোরী বলছে, বছর বছর পরিকল্পনা গ্রহণ করে  কোনো লাভ হবে না। জলবায়ু বদলের সমস্যাকে চূড়ান্ত সমস্যা হিসেবে ধরে নিয়েই এগোতে হবে সমাধানের পথে। যেমনটা হলো করোনা পরিস্থিতির জেরে। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের মধ্যে থাকতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। ঘরবন্দী ছিল গ্রেটাও। মাঝেমধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে পরিবেশবিষয়ক আলোচনায় অংশ নিলেও পথে নেমে কাজ করার সুযোগ হয়নি।

এ কিশোরী পরিবেশকর্মীর ধারণা, এই সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ করোনা নিয়ে ভয়াবহতার মাঝেই মানুষ বুঝতে পেরেছে, পরিবেশ বাঁচানোও খুব জরুরি। এখন তাদের দৃষ্টি পড়েছে আশপাশের পরিবেশের দিকে এবং সচেতনও হচ্ছে। এই ভালো দিকটি কাজে লাগিয়েই অত্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মত গ্রেটার। এমনিতেই ‘ঠোঁটকাটা’ হিসেবে গ্রেটা থুনবার্গের কম কুখ্যাতি নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রকাশ্য মঞ্চে কটাক্ষ করতে সে ছাড়েনি। এবারের সাক্ষাৎকারেও সেই সুর বজায় রাখল কিশোরী পরিবেশকর্মী। গত বছর জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে সে ফের রাষ্ট্রনেতাদের কাঠগড়ায় তুলল। তার বক্তব্য, মঞ্চে দাঁড়িয়ে সে পরিবেশ বাঁচানোর সতর্কতা হিসেবে যা যা বলেছিল, তার অধিকাংশই কেউ মন দিয়ে শোনেনি। বরং সবাই তার সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে সরাসরি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের নাম করেই সুইডিশ কিশোরী জানায়, তিনি নাকি জিজ্ঞেসই করে বসেছিলেন যে গ্রেটার সঙ্গে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে গ্রেটার কোনো আপত্তি হবে কি না। তাদের এসব আচরণ মোটেই পছন্দ হয়নি কিশোরী পরিবেশকর্মীর।