সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সীমান্তে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছে, যোগ্য জবাব পেয়েছে : মোদি

নয়াদিল্লি ও কলকাতা প্রতিনিধি

সীমান্তে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছে, যোগ্য জবাব পেয়েছে : মোদি

সীমান্তে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছে তারা যোগ্য জবাব পেয়েছে। লাদাখ সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কোনো দেশের নাম না নিলেও প্রতিবেশী দেশ চীনকে উদ্দেশ্য করেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল রেডিওতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা পৃথিবী ভারতের বিশ্ব বন্ধুত্বের ভাবনাকে উপলব্ধি করেছে। পাশাপাশি নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তকে রক্ষা করার ভারতের শক্তি ও অঙ্গীকারও গোটা পৃথিবী দেখেছে। লাদাখে ভারতের ভূখন্ডের দিকে যারা চোখ তুলে দেখেছিল তারা যোগ্য জবাব পেয়েছে। ভারত বন্ধুত্ব করতে জানে, চোখে চোখ রেখে কথাও বলতে পারে এবং উচিত শিক্ষা দিতেও জানে। আমাদের বীর জওয়ানরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, তারা কখনো ভারত মাতার গৌরবের ওপর কোনো দাগ লাগতে দেবে না। লাদাখে আমাদের যে বীর জওয়ানরা শহীদ হয়েছেন ওদের বীরত্বকে গোটা দেশ সম্মান জানায়, শ্রদ্ধা জানায়। সারা দেশ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নিহতদের পরিবারের মতোই গোটা দেশ এই মৃত্যুতে শোকাহত, দুঃখিত।’ তার অভিমত, ‘দেশ আত্মনির্ভর হলেই জওয়ানদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হবে।’ গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সংঘর্ষে এক কর্নেলসহ ২০ ভারতীয় সেনাসদস্যের মৃত্যুর পর এদিনের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদির এই মন্তব্য।

ওই ঘটনার পরই গোটা ভারতে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গটি তুলে বিদেশি পণ্য, বিশেষ করে চীনা পণ্য ব্যবহার বর্জন করে দেশীয় পণ্যকে গুরুত্ব দিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। মোদি বলেন, ‘গোটা দেশ থেকেই অনেকে জানাচ্ছেন তারা দেশে তৈরি জিনিস কিনবে এবং অন্যদেরও দেশীয় পণ্যের জন্য আওয়াজ তুলবেন। অনেকে আবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারতকে আত্মনির্ভর হতে দেখতে চাইছে।’ দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি দেশীয় জিনিস কেনেন, দেশীয় পণ্যের জন্য আওয়াজ তোলেন, তবে সেক্ষেত্রে দেশেরই সেবা করবেন আপনারা। এর ফলে আমাদের দেশ মজবুত হবে। আর আমরা যত শক্তিশালী হব, বিশ্বজুড়ে ততই শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা বাড়বে।’

বক্তব্যের শুরুতেই মোদি বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি কিন্তু বিশ্বজুড়ে যে করোনা মহামারী এসেছে, মানব জাতির ওপর যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে একটু বেশিই আলোচনা করছি। কিন্তু কয়েকদিন ধরেই দেখছি, সবাই বলছেন এই বছরটা কত তাড়াতাড়ি শেষ হবে। সবাই বলছেন এই বছরটা শুভ নয়। সবাই চাইছে যে, এই বছরটা যেন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আমি ভাবতাম মানুষ কেন এরকম বলছে। ছয় মাস আগেও আমরা কি কেউ জানতাম যে, করোনা আসবে এবং এর জন্য এত দীর্ঘ লড়াই চলবে। শুধু করোনা নয়, কয়েকদিন আগেই পূর্ব ভারতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, পশ্চিম ভারতে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ এসেছে, কয়েকটি রাজ্যে পঙ্গপাল হামলা চালিয়েছে। আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কম মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। আবার কোনো কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র সমস্যা করছে। আর তাই মানুষের মনে এই ধারণা জন্মেছে।’

সর্বশেষ খবর