মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা চিকিৎসায় প্রাচীন পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চীন

করোনা চিকিৎসায় প্রাচীন পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চীন

গোটা বিশ্বে যখন করোনার টিকা আবিষ্কারে প্রতিযোগিতা চলছে তখন করোনা চিকিৎসার উপায় হিসেবে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (টিসিএম) বা প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চীন। স্থানীয় গণমাধ্যমে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, চীনে কভিড-১৯ আক্রান্ত শতকরা ৯২ শতাংশের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন পদ্ধতি কোনো না কোনোভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। টিসিএম হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। ভেষজ উপাদান থেকে শুরু করে আকুপাংচার সব ধরনের চিকিৎসাই এর অন্তর্ভুক্ত। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিসিএম পদ্ধতি চীনে জনপ্রিয়। যদিও অনলাইনে মাঝে-মধ্যেই এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে বিতর্ক দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন দেশ ও দেশের বাইরে টিসিএম চিকিৎসা পদ্ধতি সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ে আছেন। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের করোনাভাইরাস নির্দেশিকায় টিসিএম নিয়ে একটি বিশেষ অধ্যায় রয়েছে। সেখানে ২০০৩ সালে সার্স-এর মতো মহামারীতে এ চিকিৎসা পদ্ধতির ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় ওই নির্দেশিকায় ছয় ধরনের ঐতিহ্যবাহী নিরাময় ব্যবস্থার কথা রয়েছে। সেখানে ১৩ ধরনের ভেষজ উপাদান গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তারা বলেছেন, এসব ব্যবহারে কোনো ক্ষতি নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপদ ভেবে এসব ভেষজ ব্যবহারের আগে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হওয়া দরকার। যুক্তরাজ্যের ওষুধ বিশেষজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত গবেষক এডজার্ড আর্নস্টকে সম্প্রতি নেচার জার্নালে জানিয়েছেন, টিসিএমের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত হয়নি। করোনা মোকাবিলায় তাই এর ব্যবহার বিপজ্জনকও বটে। বিশেষজ্ঞরা যাই বলুক না কেন, চীনে টিসিএমের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে, আন্তর্জাতিভাবেও এর চাহিদা বাড়ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গভীর অনুরাগী হিসেবে পরিচিত।

সর্বশেষ খবর